“দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন” পাঁচ ভাগে বিভক্ত হতে পারে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার ভোটাররা

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

Spread the love

দিন যতই ঘনিয়ে আসছে নির্বাচনী মাঠে ভোটের রূপ রেখা ততই প্রস্ফুটিত হচ্ছে। নৌকার প্রার্থীসহ আওয়ামীলীগের চার প্রার্থীরা নিজেদের বিজয় নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে প্রচার প্রচারণা এবং গণসংযোগ ও উঠান বৈঠক করে সময় পার করছেন। ইতিমধ্যে আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর খাঁন চৌধুরী আওয়ামীলীগের দলীয় মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি এডভোকেট আবুল হাসেম খাঁনকে সমর্থন করে নির্বাচনের মাঠ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। নৌকার প্রার্থীর প্রতিদ্ব›দ্বী হিসেবে মাঠে এখনো দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী ৩ নেতা। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারন সম্পাদক এবং বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন বিশাল কর্মী সমর্থক নিয়ে দুই উপজেলার প্রতিটি গ্রামের ঘরে ঘরে ভোটারদের নিকট ভোট ও দোয়া চাচ্ছেন। তার কর্মী সমর্থকরা মনে করেন বিশাল ভোট পেয়ে তাদের পছন্দের স্বতন্ত্রপ্রার্থী সাজ্জাদ হোসেনকে বিজয়ী করবেন। আওয়ামীলীগের আরেক প্রভাবশালী নেতা কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মাঠে দাপটের সাথে কাজ করে যাচ্ছেন আলহাজ্ব মুহাম্মদ এম এ জাহের। তার পক্ষে কোমড় বেঁধে মাঠে নেমেছেন বুড়িচং উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এবং বুড়িচং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আখলাক হায়দার। দুই চেয়ারম্যান মিলে মিশে বিজয় ছিনিয়ে আনার জন্য পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছেন। আখলাক হায়দার তার বেশির ভাগ অনুসারীদের নিয়ে স্বতন্ত্রপ্রার্থী এম এ জাহেরকে নিয়ে প্রকাশ্যে কাজ করছেন। যুবলীগের আরেক সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা এহতাশেমুল হাসান ভূইয়া রুমি স্থানীয় যুবকদের এবং যুবলীগের কিছু নেতাকর্মীদের নিয়ে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে গনসংযোগ করছেন। বিভিন্ন এলাকায় তাকে সরকারের উন্নয়নমূলক লিফলেট বিতরণ করতে দেখা যাচ্ছে। আওয়ামীলীগের মনোনীত প্রার্থী বর্তমান এমপি এডভোকেট আবুল হাসেম খানকে অসুস্থতার কারণে প্রচারণার মাঠে দেখা না গেলেও তার পক্ষ নিয়ে তার মেয়ে দিন রাত মিটিং ও গণসংযোগ করে যাচ্ছেন। কাজ করছেন সোনার বাংলা কলেজের অধ্যক্ষ ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য সেলিম রেজা সৌরভ, জেলা পরিষদের সদস্য ও বুড়িচং উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মশিউর রহমান খান, সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, সাবেক ছাত্রলীগের সেক্রেটারি বাছির খানসহ অনেক নেতা কর্মী। তাদের বিশ্বাস বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়াবাসী নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আবুল হাশেম খানকে বিজয়ী করবেন। আরেক হেভি ওয়েট প্রার্থী বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি শওকত মাহমুদ শক্ত হাতে নেমেছেন নির্বাচনের মাঠে। এই আসনে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর বিশাল ভোট ব্যাংক রয়েছে। যদিও বিএনপি জামায়াত এক দফা দাবী আদায়ের লক্ষে রাজপথে আন্দোলন সংগ্রাম করছেন। তবে অনেকের ধারণা শেষ পর্যন্ত বিএনপি জামায়াতের ভোটগুলো শওকত মাহমুদের দিকেই যাবে। এরই আলোকে বুঝা যাচ্ছে আওয়ামীলীগের ভোটগুলো চার ভাগে বিভক্ত হবে আর বিএনপি জামায়াতে বেশির ভাগ ভোট শওকত মাহমুদের পক্ষে যাবে। এই ধারা যদি শেষ পর্যন্ত ভোটারদের সেন্টিমেন্ট থাকে, তাহলে ঈগলের ছোবলে নৌকাসহ বাকি প্রার্থীরা কপোকাত হয়ে যেতে পারে। তা ছাড়া আওয়ামীলীগের এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাষ্যমতে শওকত মাহমুদের প্রতি রয়েছে সরকারে অন্যরকম দৃষ্টি। হয়তো তাকে বিজয়ী করার লক্ষে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অদৃশ্য কোন সহযোগীতা থাকতে পারে। ভোটের মাঠে নানা জনের মুখে রয়েছে নানান কথা। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী জাহাঙ্গীর দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। বুড়িচং ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা জাতীয় পার্টির একটি অংশ ইতিমধ্যে শওকত মাহমুদকে সমর্থন করে মাঠে নেমে কাজ করছেন বলে বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশ করা হয়। সুপ্রিম পার্টির প্রার্থী মুফতি বাকি বিল্লাহ তার ভক্ত মুরিদানদের নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছেন। গণফোরমের মনোনীত প্রার্থী এডভোকেট আলীমুল এহছান রাসেলও কর্মী সমর্থকদের নিয়ে প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন।

  • বুড়িচং
  • ব্রাহ্মণপাড়া