ব্রাহ্মণপাড়ায় সড়কের ৩ স্থানে ভাঙন, সাঁকো দিয়ে ২০ গ্রামের মানুষের পারাপার

লেখক: মোঃ সোহেল ইসলাম
প্রকাশ: ২ সপ্তাহ আগে

Spread the love

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা টানাব্রিজ-মন্দবাগ (কসবা) সড়কের তিন স্থান বন্যায় ভেঙে গেছে। এ ছাড়া পিচ-খোয়া উঠে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত তৈরি হয়েছে। ভাঙা স্থানে সাঁকো দিয়ে পারাপার হতে হচ্ছে মানুষের। সড়কে বন্ধ রয়েছে সব ধরনের যানবাহন চলাচল। এতে ভোগান্তিতে পড়েছেন দুই উপজেলার প্রায় ২০ গ্রামের মানুষ। সরেজমিনে জানা গেছে, সাম্প্রতিক বন্যায় সালদা নদীর তীব্র পানির স্রোতে ব্রাহ্মণপাড়ার চান্দলা টানাব্রিজ থেকে পার্শ্ববর্তী কসবা উপজেলার মন্দবাগ বাজার সংযোগ সড়ক ক্ষতবিক্ষত হয়েছে। এই সড়কের পূর্ব অংশে দেউশ এলাকায় প্রায় ১৮ ফুট, পশ্চিম অংশে শান্তিনগর এলাকায় ৪৫ ফুট ও সড়কের মধ্য এলাকায় প্রায় ১০০ ফুট ভেঙে খালে সংযুক্ত হয়েছে। সড়কের এক পাশের পানি অন্যপাশের খালে প্রবাহিত হচ্ছে ভাঙা স্থান দিয়ে। স্থানীয়রা জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা, শশীদল ও কসবা উপজেলার বায়েক ও মঈনপুর ইউনিয়নের প্রায় ২০ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষের চলাচল করে এই সড়ক দিয়ে। স্থানীয়রা নিজেদের উদ্যোগে বাঁশ দিয়ে সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছেন। তবে, সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। স্থানীয় চৌব্বাস জাহানারা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ইলিয়াস ভূঁইয়া বলেন, সাম্প্রতিক বন্যায় উজানের ঢল, সালদানদী ও গোমতী নদীর প্রতিরক্ষা বাঁধ ভেঙে তীব্র পানির স্রোতে সড়কের তিন স্থান ভেঙে পানি লোকালয়ে প্রবেশ করে। এতে এই সড়ক দিয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। পরে স্থানীয় যুবসমাজ স্বেচ্ছাশ্রমে সড়কের ভেঙে যাওয়া স্থানগুলোতে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করে প্রাথমিকভাবে পারাপারের ব্যবস্থা করে। দেউশ গ্রামের বাসিন্দা অঞ্জন সরকার জানান, সড়কটি দিয়ে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় মানুষ চরম দুর্ভোগে পড়েছেন। দাপ্তরিক কাজকর্ম, শিক্ষা-প্রতিষ্ঠানসহ জেলা ও উপজেলা সদরে যেতে শিক্ষার্থী ও পেশাজীবীদেরকে হেঁটে গন্তব্যে যাতায়াত করতে হচ্ছে। যানবাহন চলাচল না করায় উপজেলা সদরে রোগীদের নিয়ে যেতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। তিনি দ্রæত এই সড়কের সংস্কার চেয়েছেন। বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত সড়ক পরিদর্শন করেছেন বলে জানান ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রকৌশলী মো. আবদুর রহিম। তিনি বলেন, ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত সড়কগুলোর সংস্কার চেয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর চাহিদাপত্র পাঠানো হয়েছে। বেশি ক্ষতিগ্রস্ত ৩৬ কিলোমিটার পাকা সড়ক সংস্কার করতে ২০ কোটি টাকার চাহিদা দেওয়া হয়েছে। আশা করছি, খুব শিগগিরই আমরা তা বাস্তবায়ন করতে সক্ষম হব।

  • ব্রাহ্মণপাড়া