ব্রাহ্মণপাড়ায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে এক ব্যক্তি গ্রেপ্তার

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় ৬ষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু শিক্ষার্থী (১৪) কে ধর্ষণের অভিযোগে (১৬ নভেম্বর ) বৃহস্পতিবার বিল্লাল হোসেন ( ৪২ ) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে ব্রাহ্মণপাড়া থানাপুলিশ। গ্রেপ্তরকৃত বিল্লাল হোসেন উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের দ. চান্দলা সবুজপাড়া এলাকার মৃত ময়নাল হোসেনের ছেলে। এর আগে গত বুধবার (১৫ নভেম্বর) এ ব্যপারে ধর্ষণের শিকার শিশুটির মা সুমি আক্তার বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন। মামলার এজহার ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, ধর্ষণের শিকার শিশুটি (১৪) স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী। বিল্লাল হোসেন ওই শিশুটির সর্ম্পকে চাচা হয়। এ বছরের ৩০ জুন বিল্লাল হোসেনের বাড়িতে কেউ না থাকায় শিশুটিকে খালি ঘরে ডেকে নেয় বিল্লাল। এক পর্যায়ে ঘরের দরজা বন্ধ করে শিশুটির ইচ্ছার বিরুদ্ধে মুখ ও হাত বেধে ধর্ষণ করে বিল্লাল। এ সময় এই ঘটনা কাউকে জানালে শিশুটিকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয় সে। সেই ভয়ে শিশুটি এতোদিন কাউকে কিছুই জানায়নি। পরে গত ৪ নভেম্বর হঠাৎ করে শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়ে। অসুস্থতার বিষয়টি সে তার মাকে অবহিত করে। পরে উপজেলা সদরের স্থানীয় একটি বেসরকারি হাসপাতালে শিশুটির পেটে আল্ট্রাসনোগ্রাম করে জানতে পারে শিশুটি অন্তস্বত্বা ছিল। অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণের কারণে পেটের বাচ্চা নষ্ট হয়ে গেছে। পরে শিশুটিকে পরিবারের লোকজন চাপ প্রয়োগ করলে শিশুটি তার মা ও পরিবারের লোকজনকে জানায় তার চাচা বিল্লাল হোসেন নামের ওই ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করেছে। এ ব্যপারে পুলিশ জানায়, শিশুটি পাঁচ মাসের অন্তস্বত্বা হয়ে পড়েছিল। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে গর্ভপাত হয়েছে। এ ঘটনায় গত বুধবার রাতে শিশুটির মা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছে। এরই প্রেক্ষিতে বৃহস্পতিবার সকালে অভিযুক্ত বিল্লাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধর্ষণের শিকার ওই শিশুটিকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য বৃহস্পতিবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে । এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি এস এম আতিক উল্লাহ বলেন, ধর্ষণের অভিযোগে বিল্লল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্ত চলছে।