‘ব্রাহ্মণপাড়ায় সেতু সংস্কারের দাবি’ জোড়া তালি দিয়ে ৬ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের খলিফাপাড়া গ্রাম সংলগ্ন খালের উপর বিগত ২৭ বছর পূর্বে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়। ২০১৯সালে পাহাড়ি ঢলে সেতুটির অধিকাংশ ধসেপড়ে যায়। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছে খলিফাপাড়া গ্রামসহ ৬ গ্রামের কয়েক হাজার মানুষ। গ্রামের লোকজন বিভিন্ন সময় নিজস্ব অর্থায়নে এবং গ্রামের বিভিন্ন মানুষ থেকে চাঁদা তুলে বাঁশ দিয়ে জোড়াতালির মাধ্যমে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। বাঁশ দিয়ে মেরামত করলেও কোন প্রকার যানবাহন চলাচল করতে পারে না। এতে ৬ গ্রামের মানুষগুলো নিত্যপ্রয়োজনীয় কাজে এবং অসুস্থ রোগীদের হাসপাতালে নিতে গিয়ে ব্যাপক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেতুটির উপর দিয়ে কোন প্রকার যানবাহন চলতে না পাড়ায় স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসাগামী ছাত্র-ছাত্রীরা বিপাকে পড়েছে। তারা সময় মতো স্কুল কলেজ ও মাদ্রাসা আসা-যাওয়া করতে পারে না। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঝুঁকিপূর্ণ বিধ্বস্ত এই সেতুটি বিকলাবস্থার কারণে প্রায়১৫/২০দিন ধরে চলাচলে অযোগ্য হয়ে পড়েছে। সীমাহীণ দূর্ভোগে পড়েছে প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, কলেজ ও মাদাসাসহ আশেপাশের কয়েক গ্রামের প্রায় কয়েক শত কোমলমতি শিক্ষার্থী। এই অবস্থায় স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার জাকির হোসেন গ্রামবাসীদের নিয়ে অকেজো সেতুটি বাঁশ দিয়ে জোড়াতালি দিয়ে মেরামত করেন।এই সেতুটি ব্যবহার করেন চান্দলা, খলিফাপাড়া, শান্তিনগর, নোয়াপাড়া, দেউস ও চড়েরপাথরের অধিকাংশ মানুষ। এই সেতু দিয়ে চলাচলকারী শান্তিনগরের মোসলেম মিয়া আক্ষেপ করে বলেন, দীর্ঘ ৪ বছর ধরে গ্রামবাসীর সহায়তায় ৬/৭ মাস পরপর সেতুনর বাঁশ পরিবর্তন করে আবার নতুন বাঁশ লাগাতে হয়; এতে প্রায় ৪০ হাজার টাকা খরচ হয়। খলিফাপাড়ার কলেজ পড়–য়া রনি আহমেদ বলেন, এ সেতুটি দিয়ে কয়েক গ্রামের মানুষ পায়ে হেঁটে যাতায়ত করছে কিন্ত কোন প্রকারের যানবাহন চলাচল না করায় ভোগান্তির অন্ত নেই আমাদের। খলিফাপাড়ার কৃষক মতি মিয়া বলেন, আমাদের প্রায় অধিকাংশ জমি দেউস বিলে। তাই পাকা ধান কেটে আনতে এবং জমিতে সার ও বীজ নিয়ে আসা-যাওয়া কষ্ট পোহাতে হচ্ছে। চন্দলা গ্রামের পিন্টু মিয়া জানান, সেতুটিতে কয়েকজন এক সাথে উঠলে কখনো ডানে কখনো বামে কাত হয়ে যায়। অথচ সেতুটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কোন মাথাব্যাথা নেই। কয়েক বছর ধরে শুনেই আসছি যে,সেতুটি মেরামত করা হবে। কিন্ত মেরামত কবে হবে তা আল্লাহই ভালো জানে। এই ব্যাপারে চান্দলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক বলেন, খলিফাপাড়া গ্রামের পাশে অবস্থিত খালের উপরের সেতুটির মেরামত করা খুবই জরুরী। অচিরেই এ সমস্যা সমাধানের জন্য আমি কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করেছি। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ এলজিইডির উপজেলা প্রকৌশলী আবদুর রহিম বলেন, গুরুত্বপূর্ণ এই সেতুটির অবস্থা খুবই বেহাল। সেতুটি সরেজমিন পরিদর্শন করে নির্মাণে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠিয়েছি।

  • ব্রাহ্মণপাড়া