কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার স্বনামধন্য দ্বীনি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিদলাই দারুল ইসলাম ফাযিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অভিভাবক প্রতিনিধি মোঃ আব্দুস সাত্তার কর্তৃক ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা পীর মোহাম্মদ রুহুল আমিন পীরকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্যের প্রতিবাদে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। রবিবার সকাল ১১টায় মাদ্রাসার ছাত্রছাত্রীদের আয়োজনে ঘন্টাব্যাপী মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনের বক্তব্যে মো. তোফায়েল হোসাইন, মো. শজল, মো. হোসাইন, মো. আরিফুল ইসলাম বলেন, গত ৭ নভেম্বর ২০২১ সালের ম্যানেজিং কমিটির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমাদের শিক্ষক শফিকুল ইসলাম বাবুল মাষ্টারকে একদল দুষ্কৃতিকারীরা রাস্তায় হামলা করে। এরপর একই দুষ্কৃতিকারীরা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষের বাড়িতে হামলা ও ভাংচুর করে। ঘটনার পর ইউএনও সোহেল রানা তাৎক্ষনিক ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়। তখন মাদ্রাসার সকল ছাত্রছাত্রীরা মাদ্রাসার ২ নং গেইটে ইউএনও সোহেল রানাকে দেখে এর বিচারের সুষ্ঠু দাবী জানায়। ছাত্রছাত্রীদেরকে এর সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে সকল ছাত্রছাত্রীরা ঘরে ফিরে যায়। কিন্তু এর সুষ্ঠু বিচার না পাওয়ায় সকল ছাত্রছাত্রীরা মানববন্ধন করেন। এরই মধ্যে দুষ্কৃতিকারীদের একজন অভিভাবক সদস্য মোঃ আব্দুস সাত্তার অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য করেন। তার এমন কুরুচিপূর্ণ বক্তব্য আমাদের কলিজায় আঘাত করেছে। মাওলানা রুহুল আমিন পীর সাহেব এই মাদ্রাসার তথা আমাদের আবেগ ও অনুভূতির স্থান। সে আমাদের শীরতাজ ওস্তাদ কে নিয়ে যে মন্তব্য করেছেন যা ধৃষ্টতার শামীল ও ন্যাক্কারজনক। সে একজন অভিভাবক প্রতিনিধি হয়ে উদ্দেশ্য প্রনোদিতভাবে আমাদের ছাত্র ভাইদেরকে বিভিন্ন ভাবে হুমকি-ধমকি দিয়ে আসছে। অধ্যক্ষ আমাদের মাদ্রাসায় ২০১৫ সালে নিয়োগ হয়। তিনি মাদ্রাসায় আসার পর থেকে মাদ্রাসার ফলাফল ও ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি শিদলাই এলাকার গর্ব। আমাদের মাদ্রাসার গর্ব। তার এই কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য আমরা মানতে পারছি না। তাই আমরা সকল ছাত্রছাত্রীরা আজ মানববন্ধনে নামতে বাধ্য হয়েছি এবং ক্লাশ বর্জন করেছি। মানববন্ধনে প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচারের দাবী জানান সকল ছাত্রছাত্রীবৃন্দরা। দাবী না মানলে অনির্দিষ্টকালের জন্য ক্লাশ বর্জনের ঘোষণা দেয় শিক্ষার্থীরা।