ব্রাহ্মণপাড়ায় প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশেই জলাশয়, নেই নিরাপত্তা বেষ্টনী

লেখক: আতাউর রহমান
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

Spread the love

পানিতে ডুবে শিশুমৃত্যু বর্তমানে এক নীরব মহামারি আকার ধারণ করেছে। দুর্ঘটনাজনিত শিশুমৃত্যুর শীর্ষ ১০টি কারণসমূহের মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হলো পানিতে ডুবে মৃত্যু। এদিকে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ব্রাহ্মণপাড়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ আরও কয়েকটি বিদ্যালয়ের পাশেই জলাশয়, অথচ এসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে নেই কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনী বা সীমানা প্রাচীর। এতে এসব বিদ্যালয়ে পাঠ নিতে আসা শিশু শিক্ষার্থীরা রয়েছে ঝুঁকিতে। এ নিয়ে শিশুদের অভিভাবকরা রয়েছেন শঙ্কায়। শিশু শিক্ষার্থীদের অভিভাবক ও স্থানীয়দের দাবি নিরাপত্তা বেষ্টনী বা সীমানা প্রাচীর স্থাপন করে শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দেওয়া হোক। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলা সদরে অবস্থিত ব্রাহ্মণপাড়া আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ঘেঁষেই ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুর। উপজেলা সদরের ধান্যদৌল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েট পাশেই রয়েছে বড় পুকুর। উপজেলার শিদলাই ইউনিয়নের শিদলাই গোলাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ দিয়ে বয়ে গেছে খাল। উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের উত্তর নাগাইশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একপাশে পুকুর, অন্যপাশে খাল। শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা দিতে এসব বিদ্যালয়ে সীমানা প্রাচীর নেই, নেই কোনো নিরাপত্তা বেষ্টনীও। ফলে এসব বিদ্যালয়ে শিশু শিক্ষার্থীরা রয়েছে পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঝুঁকিতে। দেখা গেছে, এসব বিদ্যালয়ে পাঠদান শুরুর আগে ও টিফিনের সময় শিশু শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের আঙিনায় খেলাধুলা করে। এতে খেলারছলে শিশু শিক্ষার্থীরা পড়তে পারে পানিতে ডুবে মৃত্যুর মতো দুর্ঘটনার কবলে। এ নিয়ে শিক্ষার্থীদের অভিভাবকসহ স্থানীয়দের দাবি এসব ঝুঁকিপূর্ণ বিদ্যালয়গুলোতে সীমানা প্রাচীর অথবা নিরাপত্তা বেষ্টনী স্থাপন করে শিশু শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হোক। সংশ্লিষ্ট দপ্তরের দৃষ্টিপাত কামনা করছেন তারা। এ ব্যাপারে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মাসুদ ইবনে হুসাইন বলেন, উপজেলার কিছু প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে জলাশয় আছে। এসব বিদ্যালয়সহ আরও কিছু বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর চেয়ে আবেদন করা হয়েছে। উপজেলার গোলাবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর হওয়ার কথা থাকলেও স্থানীয় সমস্যার কারণে সীমানা প্রাচীর নির্মাণ আপাতত বন্ধ রয়েছে। আশা করছি এই বিদ্যালয়সহ অন্যান্য বিদ্যালয়গুলোর সীমানা প্রাচীর শিগগিরই স্থাপন করা হবে। জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. সফিউল আলম বলেন, উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা এসব বিদ্যালয়ের তালিকা করে উপজেলা পরিষদ বরাবর পাঠালে তা সরেজমিনে তদন্ত শেষে সীমানা প্রাচীর বা নিরাপত্তা বেষ্টনী স্থাপন করা হয়। এ বিষয়টি নিয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সাথে যোগাযোগ করলে বোঝা যাবে যে এসব বিদ্যালয়ের তালিকা করা হয়েছে কি না। তারপরও বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখবো।

  • ব্রাহ্মণপাড়া