বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকার পতনের পর বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ায় আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৪ দিন আগে

Spread the love

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী সরকার প্রধান শেখ হাসিনার পতনের পর কুমিল্লা-৫ নির্বাচনী এলাকার আওয়ামীলীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগসহ অঙ্গসংগঠনের বিভিন্ন নেতা কর্মীর বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় হত্যা ও বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ জাহের, বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু তৈয়ব অপি, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য মশিউর রহমান খান, কুুুুুুুুুুুমিল্লা জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য তারেক হায়দার, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান শরীফ, বুড়িচং উপজেলা যুবলীগের সভাপতি জিএমএন জাকারীয়া, ময়নামতি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লালন হায়দার, ভারেল্লা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক, ষোলনল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাজী বিল্লাল হোসেন, ষোলনল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ সিরাজুল ইসলাম, বুড়িচং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার বাছির খান, বুড়িচং উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ গিয়াস উদ্দিন, সাহেবাবাদ ডিগ্রি কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মোশাররফ হোসেন আলিফসহ উপজেলা চেয়ারম্যান, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানা ও আদালতে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিগত ২০২৩ইং সালে কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলার নিমসার এলাকায় বিএনপির দলীয় কর্মসূচী পালনকালে আওয়ামীলীগ সমর্থিত নেতা-কর্মীদের হামলায় স্বেচ্ছাসেবক দলের স্থানীয় নেতা জাকির হোসেনের মৃত্যুর ঘটনায় গত সোমবার ৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে কুমিল্লার ২নং আমলী আদালতে কুমিল্লা-৫ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য এম.এ জাহেরসহ দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলার বিবরণ সুত্রে জানা যায়, জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের নিমসার এলাকায় নিমসার-বরুড়া সড়কের প্রবেশ পথে ২০২৩ সালের ৩০ অক্টোবর রাজনৈতিক কর্মসূচি পালনকালে সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টায় সাবেক এমপি এম.এ জাহের, ময়নামতি ইউপি চেয়ারম্যান লালন হায়দার, ভারেল্লা দক্ষিণ ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ ওমর ফারুক, মিজানুর রহমান খাঁন, সাবেক জেলা পরিষদ তারেক হায়দার এর নির্দেশে অন্যান্য আসামীরা বিএনপি’র উপস্থিত নেতা-কর্মীদের উপর হামলা চালায়। অন্যান্য নেতা-কর্মীরা পালিয়ে প্রান বাঁচাতে পারলেও আসামীরা বুড়িচং মোকাম ইউনিয়নের বিএনপি’র অঙ্গসংগঠন স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেনকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। এসময় ৬ নং আসামী বুড়িচং উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারন সম্পাদক বাছির খাঁন তাকে লোহার রড দিয়ে, ৭ নং আসামী ছাত্রলীগ নেতা শাহাবুদ্দিন সোহাগ, ৮ নং আসামী করিম খাঁন রিপন, ৯ নং আসামী সাবেক এমপির ছেলে অরুপ পাইপ দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। সন্ত্রাসীদের হামলায় জাকির মাটিতে লুটিয়ে পড়লে ১১ নং আসামী ষোলনল ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন শর্টগান দিয়ে শরীরে একাধিকবার আঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিত করে। একই সময়ে অন্যান্য আসামীদের সকলেও লোহার রড,পাইপসহ অন্যান্য দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে তাকে আঘাত করে। এরপর নিহতের লাশ ফেলে চলে গেলে স্থানীয়দের সহযোগীতায় মামলার বাদী বুড়িচং থানাকে বিষয়টি জানালে তারা সহযোগীতা করতে অস্বীকৃতি জানায়। পরবর্তীতে রাজনৈতিক প্রভাবসহ প্রাননাশের হুমকীতে মামলা করাও সম্ভব হয়নি। গত ৫ আগষ্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার শেখ হাসিনার পতনের পর অনুকূল অবস্থার কারণে সোমবার কুমিল্লার ২ নং বিজ্ঞ সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে বুড়িচং উপজেলা সদরের বুড়িচং দক্ষিণ গ্রামের মোঃ হানিফের ছেলে মোঃ মাহফুজ বাদী হয়ে এমপিসহ ১১১ জন নেতা-কর্মীর নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা ৩০/৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা রুজু করেন। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা, গুলি, ককটেল বিস্ফোরণসহ আন্দোলনকারীদের মারধরের ঘটনায় কুমিল্লার বুড়িচংয়ে জেলা পরিষদের সদস্য, ইউপি চেয়াারম্যানসহ ২৬৪ জনের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। শনিবার ৭ সেপ্টেম্বর এ মামলাটি দায়ের করেন বুড়িচং সদর এলাকার শাহ আলমের ছেলে আব্দুল আউয়াল রবিন। মামলার বিবরনে জানা যায়, গত ৪ আগস্ট বিকেল সাড়ে তিনটায় বুড়িচং থানাধীন নাজিরা বাজার এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মিছিলে আসামিরা হামলা চালিয়ে বোমা বিস্ফোরণ ও মারধর করে। অপর দিকে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শরীফের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, কুমিল্লায় ছাত্র-জনতার আন্দোলনে জেলার কোটবাড়ি বিশ্ব রোডের নন্দনপুরে মাসুম মিয়া নামে একজন নিহতের ঘটনায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় ৬২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ৪শ’ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। ওই হত্যা মামলায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান শরীফকেও আসামি করা হয়। রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানায় এ হত্যা মামলা দায়ের করেন দিশাবন এলাকার বাসিন্দা আব্দুল হান্নান। নিহত মাসুম মিয়া কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ২২ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর রামপুর এলাকার শাহিন মিয়ার ছেলে। জানা গেছে, ছাত্র জনতার আন্দোলনে কুমিল্লার সদর দক্ষিণের কোটবাড়ি নন্দনপুরে গত ৪ আগস্ট শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের সংঘর্ষে নিহত হন মাসুম মিয়া। কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এসআই মনির হোসেন নিহতের সুরতহাল রিপোর্ট প্রস্তুত শেষে মরদেহ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান। ময়নাতদন্ত শেষে নিহতের পরিচয় না পাওয়ায় তাকে বেওয়ারিশ হিসেবে দাফন করা হয়েছিল। পরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নিহতের ছবি দেখে মামলার বাদী ও নিহতের স্বজনরা মাসুম মিয়াকে সনাক্ত করেন। এ ব্যাপারে কুমিল্লা সদর দক্ষিণ থানার ওসি আলমগীর হোসেন ভূঁইয়া বলেন, মাসুম মিয়া হত্যার ঘটনায় রোববার রাতে কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সাংসদ আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার ও কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তাহসিন বাহার সূচনাসহ ৬২ জনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও ৪শ’ জনকে আসামি করে মামলা করা হয়েছে। এতে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান শরীফকেও আসামি করা হয়েছে। আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে কাজ করছি। বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদের বিরুদ্ধে কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়,কুমিল্লার আলেখারচর ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিতে আহতের ঘটনায় বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপনসহ ১৩৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, তাঁর স্ত্রী হনুফা আক্তার, কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তাঁর মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহ্সীন বাহার সূচনাকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ জনকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন আলেখারচর এলাকার বাসিন্দা কাজী মো. সোহেল। তিনি ওই হামলায় আহত হয়েছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস। তিনি জানান, তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলায় ১৩৩ জন এজাহার নামীয় আসামিদের মধ্যে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপন ২৬ নাম্বার আসামি হিসেবে অর্ন্তভূক্ত করা হয়। এ ছাড়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু তৈয়ব অপি, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মহানগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর আল আমিন সাদী প্রমুখ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মুজিবুল হক ও বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন স্বপনসহ তিন শতাধিক আসামি আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, দা, ছেনি নিয়ে বাদী ও অন্য আন্দোলনকারীদের ওপর তাহ্সীন বাহারের নেতৃত্বে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ককটেল ও গুলি ছুড়ে ছাত্র-জনতাকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত তাড়া করে নিয়ে যান। তখন হামলাকারীরা পিস্তল ও শটগান নিয়ে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করেন। এ সময় তাঁর (বাদী) মাথায় গুলি লাগলে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তখন অন্যান্য আসামিরা তাঁর (মো. সোহেল) বুকে ও মাথায় আঘাত করেন। এছাড়া ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান অপি’র বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। জানা যায়, কুমিল্লার আলেখারচর ও ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিতে আহতের ঘটনায় ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তৈয়ব অপি সহ ১৩৩ জনের নামে মামলা হয়েছে। এ মামলায় সাবেক রেলমন্ত্রী মুজিবুল হক, তাঁর স্ত্রী হনুফা আক্তার, কুমিল্লা সদর আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, তাঁর মেয়ে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহ্সীন বাহার সূচনাকেও আসামি করা হয়। এ ছাড়া এ মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৩০০ জনকে। গত বৃহস্পতিবার রাতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলাটি করেন আলেখারচর এলাকার বাসিন্দা কাজী মো. সোহেল। তিনি ওই হামলায় আহত হয়েছিলেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শিবেন বিশ্বাস। তিনি জানান, তদন্ত করে আসামিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলায় ১৩৩ জন এজাহার নামীয় আসামিদের মধ্যে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবু তৈয়ব অপিকে ২৯ নাম্বার আসামি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। এ ছাড়া অন্য আসামিদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, বুড়িচং উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান সাজ্জাদ হোসেন, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ নিয়াজ, সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর মহানগর যুবলীগের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক হাবিবুর আল আমিন সাদী প্রমুখ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, মুজিবুল হক ও বাহাউদ্দিন বাহারের নির্দেশে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবু তৈয়ব অপি সহ তিন শতাধিক আসামি আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, দা, ছেনি নিয়ে বাদী ও অন্য আন্দোলনকারীদের ওপর তাহ্সীন বাহারের নেতৃত্বে হামলা চালায়। হামলাকারীরা ককটেল ও গুলি ছুড়ে ছাত্র-জনতাকে ক্যান্টনমেন্ট পর্যন্ত তাড়া করে নিয়ে যান। তখন হামলাকারীরা পিস্তল ও শটগান নিয়ে নিরস্ত্র শিক্ষার্থীদের ওপর গুলি করেন। এ সময় তাঁর (বাদী) মাথায় গুলি লাগলে তিনি রাস্তায় লুটিয়ে পড়েন। তখন অন্যান্য আসামিরা তাঁর (মো. সোহেল) বুকে ও মাথায় আঘাত করেন।

  • ব্রাহ্মণপাড়া