বুড়িচংয়ে জমি বিক্রয় নিয়ে আলোচনা চলাকালে জমির মালিকের মারধর এবং চাঁদা চাওয়ার অভিযোগে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার এবং কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ১নং ওয়ার্ডের এ.কে,এম আসাদুজ্জামানা এর স্ত্রী নাসিমা জামান (৪৪) বাদী হয়ে বুড়িচং থানায় ৩জনকে আসামী করে এজহার দাখিল করেছে। বুড়িচং থানার মামলা নং-০৩। এজহার সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানার ভাটপাড়া এলাকার এ.কে.এম আসাদুজ্জামানের স্ত্রী নাসিমা আক্তার (৪৪) বুড়িচং উপজেলার মেহেরকুল পরগনার আগানগর মৌজার বিএস ৩০৬নং খতিয়ান খারিজ ৩৫৯ খতিয়ানের সাবেক দাগ ১৯৭, ১৯৮ হাল দাগ ৩৪০, ১০০ মোয়াজে ১০ শতক আন্দরে ৭শতক ভূমির এওয়াজ বিনিময় করে পরবর্তীতে বাকি ৩শতক ভুমি বিক্রয় করার জন্য জয়নাল আবেদীনকে প্রস্তাব দিলে তিনি পূর্বের চেয়ে কম দাম বলায় দরদাম সাব্যস্ত হয় নাই। উক্ত বিষয়টি বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের খাড়াতাইয়া গাজীপুর গ্রামের মৃত আঃ রাজ্জাকের ছেলে জসিম (৪৫) জানতে পেরে নাসিমা জামানের নিকট ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে বলে তাকে জয়নাল আবেদীন থেকে পূর্বের দাম আদায় করে দিবে। পরবর্তীতে জয়নাল আবেদীন এর সাথে চূড়ান্ত দরদাম ও দরখাস্তের বিষয়ে সিদ্ধান্তের জন্য ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ে মানীত লোকজনসহ গত ২৯ জুন শনিবার সকাল ১১ ঘটিকার সময় বুড়িচং থানা সংলগ্ন জুয়েলের চা দোকানে বসে আলাপ আলোচনা কালে হঠাৎ জসিম আরোও অজ্ঞাত ২জনকে সাথে নিয়ে নাসিমা জামানের সাথে তার কোন জায়গা নেই বলে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে দোকান থেকে বাহির হয়ে রাস্তায় আসলে নাসিমা জামানের নিকট হতে জোরপূর্বক জমির মূল্যবান দলিল ছিনাইয়া নেয় এবং বাধা দিলে জসিমসহ অজ্ঞাত আসামীগণ তার গলায় চিপিয়া ধরে ও কিল, ঘুষি, বুকে ও তলপেটে লাথি এবং ঘুষি মেরে নীলফুলা জখম ও শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এজহারকারী নাসিমা জামান বলেন, জসিম সর্ম্পকে আমার ভাইয়ের ছেলে হয়। সে দীর্ঘদিন যাবত আমাকে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হয়ারানী করে আসছে। গত ২৯ জুন সে জয়নাল সাহেবের পক্ষ হয়ে আমামে কিল ঘুষি ও লাথি মারে এবং আমার কাগজপত্র ছিনিয়ে নেয়। অভিযুক্ত জসিম বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই নুরুল ইসলাম বলেন, মামলার বিষয়ে তদন্ত চলতেছে। স্বাক্ষী প্রমাণের ভিত্তিতে এবং তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।