জনগনের পাশে থেকে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ব্রাহ্মণপাড়া সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হক

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১২ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ৬নং সদর ইউনিয়ন পরিষদের সফল চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হক নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ইউনিয়নে বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ অব্যাহত রেখে উল্লেখযোগ্য সাফল্য অর্জন করেছেন। বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ সমর্থিত, যুবসমাজ ও তারুণ্যের অহংকার, ইউনিয়নবাসীর প্রিয়মুখ মোঃ জহিরুল হক। বিগত ২০২১ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকা প্রতিকের প্রার্থী হয়ে এলাকা বাসীর ভালবাসায় বিপুল ভোট পেয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। জয়ের পর পরই হাল ধরেছেন ইউনিয়নের সকল অসমাপ্ত কাজগুলো সমাপ্ত করার লক্ষ্যে। খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জায়গা করে নিয়েছেন মেহনতি মানুষের মনে। বিগত দেড় বছরে উন্নয়নের ধারা ব্যাহত হতে দেননি মোঃ জহিরুল হক। সফলতা ছিলো চোখে পড়ার মত। যুব সমাজের মনিকোঠায় তিনি অপ্রতিরোধ্য চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন, যার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে এলাকার উন্নয়নে সরকার ঘোষিত প্রতিটি কার্যক্রম সুন্দর ও সফলভাবে সম্পাদন করতে সক্ষম হয়েছেন। চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হক শুধু নিজ এলাকায় নয় উপজেলার সর্বসাধারনের কাছে দলমত নির্বিশেষে এক ব্যাপক গ্রহণযোগ্যতা সম্পন্ন ব্যক্তি হিসেবে প্রতীয়মান হয়েছে। জনসেবা প্রধানের মাধ্যমে একজন সফল জনবান্ধব চেয়ারম্যান হিসেবে এলাকায় অধিষ্ঠিত। এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নিজেকে উৎসর্গ করতে চান জনবান্ধব ও বিচক্ষণ এই চেয়ারম্যান। বিগত দেড় বছরে ইউনিয়নের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হক বলেন, আমাদের ইউনিয়নটি একটি আদর্শ ইউনিয়ন। এই ইউনিয়নে আগে মাদকের ছড়াছড়ি থাকলেও বর্তমানে মাদক, ইভটিজিং, বাল্যবিবাহ এই ইউনিয়নে নেই। সময়ে ও দূর্যোগের কারনে কিছু কাজ পিছিয়ে গেলেও এলাকার উন্নয়ন চোখে পরার মতো। বিভিন্ন ওয়ার্ড ও পার্শ্ববর্তী এলাকার সাথে সংযোগ স্থাপনের জন্য কিছু ব্রিজ এর কাজ শেষ ও কিছু চলমান রয়েছে। এছাড়াও কালভার্ট, পুল, রাস্তা মেরামত ও নতুন করে দেওয়া হয়েছে, যোগাযোগ ব্যাবস্থা আরো উন্নত করার লক্ষ্যে তৃণমুল থেকে আগে কাজ শুরু করেছি। তাছাড়াও সরকার কর্তৃক সকল প্রেরিত সুবিধা জনগনের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে নিরলস পরিশ্রমে কোন ঘাটতি রাখিনি। বিধবা ভাতা, বয়স্কভাতা, পঙ্গুভাতা, ৩০ কেজির চাল,১০ কেজির চাল প্রত্যেক সুবিধা বঞ্চিত মানুষের হাতে হাতে পৌছে দিয়েছেন বলে জানান তিনি। ইউনিয়নে বসবাসরত অনেকের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের চেয়ারম্যান মোঃ জহিরুল হক একজন সদালাপী, পরিশ্রমী এবং এলাকার উন্নয়নে যথেষ্ট নিবেদিত। অত্র ইউনিয়ন পরিষদ এলাকায় প্রতি বছরই শিক্ষার হার আনুপাতিক হারে বাড়ছে। ইউনিয়নটিতে শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্যসেবা থেকে শুরু করে সরকার ঘোষিত সকল প্রকার সুবিধাদি পাচ্ছেন ইউনিয়নে বসবাসকৃত সর্বসাধারণ। এছাড়াও গ্রাম পুলিশ কমিটি রয়েছে ইউনিয়নটিতে, যারা সার্বক্ষনিক এলাকার আইন-শৃংখলা রক্ষায় এবং জনগনের সেবায় কাজ করে যাচ্ছে। প্রতিমাসে মাসিক সভা অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নানা বিষয়ে আলোচনা হয়ে থাকে। বিশেষ করে অনলাইনে জন্ম নিবন্ধন ও বাল্যবিবাহ বিষয়ে জনসচেতনতা বৃদ্ধি, ইভটিজিং বন্ধে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহনে প্রয়োজনীয় ভূমিকা পালন করেন ইউপি চেয়ারম্যান। মোঃ জহিরুল হক দলমত নির্বিশেষে সকলের কাছে বড়ই আস্থাভাজন। তিনি বলেন, যতদিন এলাকার জনপ্রতিনিধি হিসেবে দায়িত্বে থাকবো, এলাকার সার্বিক উন্নয়নে নিবেদিত হয়ে কাজ করে যাবো ইনশাআল্লাহ। সকলের আন্তরিকতা ও নিরলস ভালোবাসায় ইউনিয়নের সার্বিক উন্নয়ন অব্যাহত আছে এবং আগামীতেও থাকবে। তৃনমূল এলাকার লোকজনের সাথে কথা বললে তারা জানান, মোঃ জহিরুল হক একজন ভালো মনের মানুষ। তাঁর মাঝে নেই কোনো অহংকার।

  • ব্রাহ্মণপাড়া