আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় মালাপাড়া ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি- আবুল কালাম আজাদ

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

আমার রাজনৈতিক জীবনের অভিভাবক হলো প্রয়াত নেতা আবদুল মতিন খসরু এবং বর্তমান ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ্ব জাহাঙ্গীর খান চৌধূরী। উনাদের হাতে ধরেই আমার রাজনীতির অঙ্গনে পদ চলা। উনাদের ভালবাসা ও অনুপ্রেরণায় আমি রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেছি, এবং আজও রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি আস্থা ও বিশ্বাস রেখে এবং তার অনুপ্রেরণায় আমাকে রাজনীতির সাথে জড়িত করেছে। আমি ব্যক্তিগত ভাবে মনে করি রাজনীতি এবং জনপ্রতিনিধি দুটোই সম্পূরক শব্দ। একটি আরেকটির সাথে সম্পৃক্ততা রয়েছে। রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধি দুটার মাধ্যমেই মানুষের কল্যানে কাজ করা যায়। মানুষের নিকট যাওয়ার রাস্তা সুগম হয়। রাজনীতির মাধ্যমে সামাজিক কাজগুলো সহজে করা যায়। আর জনপ্রতিনিধি হলে জনগণের কাছ থেকে কাজ করা যায়। আমি নিজে একজন জনপ্রতিনিধি ছিলাম। তাই জনগনের কাজগুলো নিজ দায়িত্ব নিয়ে করতে পেরেছি। আমি ২০১৬ সাল থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত মালাপাড়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছি। রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধি কোনটাকে বাদ দিয়ে কোনটাই পরিপূর্ণতা পায় না। রাজনীতি করি বলেই জনপ্রতিনিধি হতে পেরেছি। প্রত্যেকটি রাজনৈতিক দলের মধ্যেই ছোট বড় গ্রæপিংয় আছে। রাজনীতির মাঠে প্রতিযোগীতা থাকতে পারে। প্রতিযোগীতায় কোন গ্রæপিং সৃষ্টি হয় না। যখন প্রতিযোগীতাটা প্রতিহিংস্বায় রূপ নেয়, তখনই গ্রæপিংয়ের সৃষ্টি হয়। আপনি যখন দলের মধ্যে বিভিন্ন কাজ কর্মের মাধ্যমে এগিয়ে যাবেন, তখনই কিছু লোক আপনাকে দমিয়ে রাখার জন্য প্রতিহিংস্বা শুরু করবে। আর প্রতিহিংস্বা থেকেই গ্রæপিংয়ের জন্ম নেয়। দলের আর্দশ নৈতিকতা মেনে চললে কখনই গ্রæপিংয়ের জন্ম হবে না। আপনি যখন অনেক পরিশ্রম করে দলের মধ্যে নিজের একটা অবস্থান তৈরী করবেন, তখন দেখতে পাবেন হঠাৎ করে কিছু লোক সক্রিয় হওয়ার চেষ্টা করছে। তারাই দলের মধ্যে কোন্দল ও গ্রুপিং সৃষ্টি করে। আওয়ামীলীগ বলেন আর বিএনপিই বলেন সব দলেই কম বেশি গ্রæপিং রয়েছে। কুমিল্লা-৫ নির্বাচনী এলাকায় তেমন একটা গ্রæপিং নেই। আমাদের প্রয়াত নেতা আবদুল মতিন খসরু সাহেব কোন প্রকার গ্রæপিং করতে দেন নাই। আল্লাহ তাকে জান্নাতবাসী করুক। আন্দোলন সংগ্রামের মাধ্যমেই আওয়ামীলীগের জন্ম হয়েছে। তাই আগামী দিনে আন্দোলন সংগ্রাম কিংবা জাতীয় নির্বাচনে আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাব। নির্বাচন আসলেই দেখা যায়, অনেক বসন্তের কোকিল এসে হাজির হয়। তবে আমি মনে করি অনেকেই তৃণমূল পর্যায় থেকে উঠে এসেছে। কুমিল্লা-৫ আসনের জন্য নেত্রী চুলছেড়া বিশ্লেষণ করেই প্রার্থী দিবেন। যারা প্রার্থী হতে চাচ্ছেন, তাদের মধ্য থেকে যারা অতীতে দলের জন্য কাজ করেছেন, আশা করি জননেত্রী শেখ হাসিনা দলের জন্য ত্যাগী ও পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিকেই প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন দিবেন। তাছাড়া দলকে যারা ভালোবাসে এবং কুমিল্লা-৫ নির্বাচনী এলাকার জনগনের জন্য যিনি কান্ডারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যোগ্য বলে নেত্রী যাকে পছন্দ করবেন আমি তার সাথেই কাজ করে যাবো। আমি চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় আমার ইউনিয়নের ব্যাপক উন্নয়ন করেছি। জনগণের পাশে থেকে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আমি রাস্তা-ঘাট ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি বেশি গুরুত্ব দিয়েছি। আমি এখনো আমার মালাপাড়া ইউনিয়ন নিয়ে চিন্তা করি। আমি এখন চেয়ারম্যান নই। তবু মানুষের সেবা করে যাচ্ছি। আমি সপ্তাহে ৫দিন এলাকায় থাকি। মানুষ আমার কাছে আসে। আমি চেষ্টা করি মানুষের উপকার করতে। আমি বিগত ৫ বছরে মাদকের বিরুদ্ধে সবচেয়ে বেশি কথা বলেছি। আমাদের ইউনিয়নটির চারদিকে বিভিন্ন উপজেলার সংযোগস্থল রয়েছে। তাছাড়া পাশেই রয়েছে গোমতী নদী। মাদকের অবস্থাটা এখন এমন হয়েছে যে প্রত্যেকটি গ্রামেই মাদকসেবী রয়েছে। আগে শুনতে পেতাম শহুরের ছেলেরা মাদকে আসক্ত থাকতো কিন্ত বর্তমানে গ্রামের রিক্সা ড্রাইভার থেকে শুরু করে বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষ মাদকের সাথে সংযুক্ত আছে। মাদক নির্মুল করার জন্য প্রশাসনকে সহযোগীতা করতে হবে। তাই সকল শ্রেণীর পেশার লোকজনদের আহ্বান করব, আসুন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলাকে একটি মডেল উপজেলা হিসাবে গড়ে তুলতে ঐক্যবদ্ধ ভাবে কাজ শুরু করি।

  • ব্রাহ্মণপাড়া