কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা সদরে ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরে প্রতিনিয়ত বাজারের ও পথচারীদের ময়লা আর্বজনা ফেলা হচ্ছে। পুকুরটি যেন এক অঘোষিত ময়লার ভাগারে পরিণত হয়েছে। ব্রাহ্মণপাড়া সদর এলাকার সিএনজি অটোরিক্সা ও বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার যাত্রী কুমিল্লা জেলা শহরসহ উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় যাতায়াত করে। এছাড়া পুকুরের পাড় ঘেঁষে স্কুল-কলেজ ও মাদরাসার ছাত্র-ছাত্রীরা আসা-যাওয়া করে থাকে। নির্দিষ্ট ডাস্টবিন না থাকায় বাজারের ও পথচারীদের বিভিন্ন ময়লা, আর্বজনাগুলো ভগবান সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়ের পুকুরের উত্তর পাশে ফেলা হয়। পুকুরের পানিতে ফেলার কারনে পানি দূষিত হচ্ছে। ছড়াচ্ছে পানিবাহিত বিভিন্ন রোগ। এতে পুকুরের পানি ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। পুকুরের উত্তর পাড়ে অবস্থিত ভগবান সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় এবং স্কুলের মসজিদ। মসজিদের ঘাট দিয়ে অনেক মুসুল্লি অজু ও বাজারের ব্যবসায়ীরা গোসল করে থাকে। পশ্চিম পাড়ে রয়েছে আবাসিক জনবসতি এবং ব্রাহ্মণপাড়া আর্দশ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়। আর্দশ প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীরা পুকুরের পানিতে হাত মুখ ধৌত করে এবং আবাসিক এলাকার লোকজন বিভিন্ন কাজে পুকুরের পানি ব্যবহার করে থাকে। পুকুরের দক্ষিণ পাড়ে সিএনজি অটোরিকশা স্টেন্ড এবং চা দোকানসহ বিভিন্ন দোকানপাট রয়েছে। চা দোকানদাররা এ পুকুরের পানি ব্যবহার করছে। দীর্ঘদিন ধরে পুকুরের দক্ষিণ পূর্ব কোণে বাজারের ময়লা আর্বজনা ফেলার কারণে পুকুরের পানি বিষাক্ত হয়ে আছে। তাছাড়া ময়লা আর্বজনার দূর্গন্ধে সাধারন যাত্রীরা চলাচলে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। অতি দ্রæত পুকুর থেকে ময়লা আর্বজনা অন্যত্র সড়িয়ে পুকুরের দক্ষিণ পাশে একটি ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করে জনদূর্ভোগ লাঘব করার দাবী এলাকাবাসীর। কুমিল্লা গামী যাত্রী আব্দুল কাদের বলেন, এ স্টেশনে আসলে বমি চলে আসে। ময়লা আর্বজনার গন্ধে এখানে দাঁড়ানো যায় না। অতিদ্রæত ময়লাগুলো সড়িয়ে ফেলার জন্য সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের নিকট দাবী জানাচ্ছি। নাম না প্রকাশে এক সিএনজি চালিত অটোরিক্সার ড্রাইভার বলেন, আমাদের দুঃখ দেখার কেউ নেই। আমাদের স্টেশনের পাশেই দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ফেলা হচ্ছে। কিন্ত আমরা কাউকে কিছু বলতে পারছি না। বাজারের বিভিন্ন দোকান পাটের ময়লাগুলো রাতের আঁধারে এখানে ফেলে যায়। ময়লাগুলো পচে দূর্গন্ধ ছড়ায়, ফলে যাত্রীদের এবং আমাদের খুব কষ্ট হয়। তারপরেও পেটের তাগিদে সিএনজি অটোরিকশা নিয়ে বসে থাকতে হয়। পাশের চা দোকানদার ফয়সাল জানান, এখানে একটি ডাস্টবিন ছিল। এখন আর ডাস্টবিন নেই। যে যার ইচ্ছে মতো ময়লা আর্বজনা ফেলে যাচ্ছে। ডাস্টবিন না থাকায় ময়লা আর্বজনাগুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এবং পুকুরের পানিতে পড়ে থাকায় পচে চারদিকে দূর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। অনেক কষ্টে দোকানদারী করছি। তবে এ জায়গাটি যদি খালি না থাকতো, তাহলে কেউ হয়তো ময়লা আর্বজনা ফেলতে পারত না। দোকান পাট নির্মাণ করলে ভালো হতো। এতে এই জায়গাটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন থাকতো। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সচেতনমহল মনে করেন, দ্রæত অন্যত্র ময়লা ফেলার জায়গা তৈরী অথবা ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে হবে। এভাবে খোলা জায়গায় ময়লা আর্বজনা ফেলা হলে বিভিন্ন রোগ জীবাণু আরও ছড়িয়ে পড়তে পারে। পুকুরের পানি দিন দিন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফলে পুকুরের পানি ব্যবহারীদের মধ্যেও বিভিন্ন রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে।