সঠিক তদারকির অভাবে বুড়িচংয়ের সাদকপুর বধ্যভ‚মির বেহলা অবস্থা

কুমিল্লা বুড়িচং উপজেলা সাদকপুরে (উদারগাজী বাড়ি) গণ কবরের উপর নির্মিত বধ্যভূমিটি অযতœ অবহেলায় আগাছা আচ্ছন্ন হয়ে বেহলা অবস্থায় পরিণত হয়েছে। গত ১৯ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, বধ্যভূমির ভিতরে পুরো মাঠ আগাছায় আচ্ছন্ন। লতা ঘাসে ছেয়ে গেছে ভিতরের বিনোদন সামগ্রী ও ওয়াশরুমের চারপাশ। একপাশে ওয়াল বেয়ে লতা ঘাস যাচ্ছে স্মৃতিসৌধে দিকে। অন্য পাশে তৈরি হয়েছে জঙ্গল। ধুলাবালি আর ময়লা আবর্জনা আচ্ছন্ন করে রেখেছে পুরো বধ্যভূমি। গেইটের সামনেও নেই কোন সুন্দর পরিবেশ। ময়লা আবর্জনায় অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পরে থাকে সারা বছর। এক সময় বাচ্চারা ভিতরে গিয়ে খেলাধুলা করলেও বর্তমানে সাপ বিষ্ণুর ভয়ে কেউ ভিতরে প্রবেশ করতে চায় না। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এটা যেন অভিভাবকহীন কোন পরিত্যক্ত ভূমি। বধ্যভ‚মি সংলগ্ন বাড়ির আলহাজ্ব আবু হানিফ বলেন, একটা বধ্যভূমির এমন অবস্থা এটা সত্যি খুব দুঃখজনক। যেহেতু শহীদদের স্মরণে এটা করা হয়েছে এটা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার দায়িত্ব প্রশাসনের। বধ্যভূমির এই রাস্তাটি রক্ষার্থে অল্প একটু জায়গা গার্ডওয়াল করার কথা। পরিচর্যার জন্য লোক নিয়োগ দেওয়ার কথা কিন্তু কোন কিছুই হয় নাই। আমরা চাই প্রশাসন যেন এ বধ্যভূমিটির টওতি নজর দেন। এবিষয়ে জানতে চাইলে বধ্যভ‚মির পাশের বাড়ির মুক্তিযোদ্ধা আ. রব মুহুরি বলেন, এখানে দুটো গণকবর থাকার কারণে এই বধ্যভূমিটি করা হয়েছে। বছরে একবার প্রশাসন খবর নেয় আর সারা বছর এভাবে অযতেœ পড়ে থাকে। এটা দেখাশোনা করার জন্য একজন লোক নিয়োগ দেওয়ার কথা ছিলো তারও কোন খবর নাই। আমি একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে বলবো এটা যেহেতু শহীদদের স্মরণে করা হয়েছে তাই এই স্থানটি যেন সব সময় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার ব্যবস্থা করে। সাবেক মেম্বার মো. সিদ্দিকুর রহমান বলেন, আমাদেরকে আগে বলছিলো এটা পরিচর্যা করার জন্য একজন লোক নিয়োগ দেবে কিন্তু আজকে কয়েক বছর হয়ে গেলো এখনো কোন লোক নিয়োগ দেওয়া হয়নি। কেউ দায়িত্বে থাকলে হয়তো এমন পরিবেশ হতো না। বছরে একবার এখানে প্রোগ্রাম হয় তখন গ্রাম পুলিশ দিয়ে অথবা বাড়ির পোলাপান মিলে এটা পরিষ্কার করে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাহিদা আক্তার বলেন, এ বিষয়টা যেহেতু জেনেছি ঠিক আছে আমি এটা দেখবো।