“জীবন ও স্বাস্থ্য সুরক্ষায় নিরাপদ খাদ্য” এই ¯েøাগানকে লালন করে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় উপজেলা নিরাপদ খাদ্য ব্যবস্থাপনা সমন্বয় কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ কুমিল্লা জেলা কার্যালয়ের আয়োজনে ও ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা প্রশাসনের সহযোগিতার গত মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে এর আয়োজন করা হয়। এতে সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) স ম আজহারুল ইসলাম। সভাপতির বক্তব্যে তিনি বলেন, বেঁচে থাকার জন্য খাদ্য জরুরি হলেও তার চেয়ে বেশি জরুরি নিরাপদ খাদ্য। অনিরাপদ খাদ্য শুধু স্বাস্থ্যের ঝুঁকিরই কারণ নয়, বরং দেহে রোগের বাসা বাঁধারও অন্যতম কারণ। খাদ্য উৎপাদন থেকে শুরু করে ভোক্তার দ্বার পর্যন্ত খাদ্যের গুণগত মান নিশ্চিত রাখতে হবে। খাদ্যে নানাভাবে ভেজাল ও কীটনাশক ব্যবহৃত হচ্ছে। মানুষ এ খাবার গ্রহণ করছে। পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরনের স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে। মানুষের সুস্থ জীবনের জন্য নিরাপদ খাদ্যের কোনো বিকল্প নেই। তিনি বলেন, মানুষ নিরাপদ খাবার খেয়ে বেশিদিন বাঁচতে চায়। কিন্তু অধিকাংশ মানুষ জানে না দৈনন্দিন জীবনে সে যা খাচ্ছে তা কি আদৌ নিরাপদ খাবার? কোন খাবার নিরাপদ, কোন খাবার নিরাপদ নয় তা চিনবে কীভাবে? দুঃখজনক হলেও বাস্তব সত্য, আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষই জানে না নিরাপদ খাদ্য আইন কাকে বলে। তারা এও জানে না, নিরাপদ খাদ্যবিষয়ক কর্তৃপক্ষ কারা। ইউএনও বলেন, খাদ্যের উদ্দেশ্যই হলো শরীরকে সুস্থ রাখা, পুষ্টিমান নিশ্চিত করা, রোগ-প্রতিরোধ করা, আয়ু বৃদ্ধি করা সর্বোপরি ক্ষুধা ও দরিদ্রতা দূর করা। এমন নিরাপদ খাদ্যকে মুনাফাখোররা পরিকল্পিতভাবে কেমিক্যাল মিশ্রিত করে অখাদ্যে পরিণত করা এখন ওপেন সিক্রেট। তাই আমাদের খাদ্য আইন, ভোক্তা অধিকার আইন সম্পর্কে জানা ও নিজে আইন মান্য করতে হবে এবং অমান্যকারীদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করতে সহায়তা করতে হবে। সর্বোপরি আমাদের সবার উচিত নিরাপদ খাদ্য সম্পর্কে সচেতন থাকা। তিনি আরও বলেন, নিরাপদ খাদ্য যেমন সবার জন্য প্রয়োজন, তেমনি নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করতে সবাইকে সচেতনতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করতে হবে। নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করার জন্য পণ্য উৎপাদন, সংরক্ষণ, সরবরাহ ও বিপণন প্রতিটি পর্যায়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। তাহলেই আমাদের সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। সভায়, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মো. মাসুদ রানা, ব্রাহ্মণপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন, জেলা খাদ্য কর্মকর্তা জুয়েল মিয়া, মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহিদুল করিম, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা লুৎফা ইয়াসমিন, উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক উম্মে তামিমা মুন্নি, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর পারভীন সুলতানা, নমুনা সংগ্রহকারী মো. নাজমুল সাকিব সহ উপজেলার বিভিন্ন দপ্তর প্রধান ও বিভিন্ন রেস্তোরাঁ, কারখানা মলিকগণ উপস্থিত ছিলেন।