বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার জনগণের কল্যাণে রাজনীতি করি- মোঃ কামাল হোসেন

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির রাজনৈতিক অঙ্গনের এক পরিচ্ছন্ন ব্যক্তিত্ব মোঃ কামাল হোসেন (রুমা কামাল)। তিনি বুড়িচং উপজেলা সদর ইউনিয়নের জগতপুর গ্রামের ঐতিহ্যবাহী দালাল বাড়ীতে জন্মগ্রহন করেন। যিনি ছাত্রজীবন থেকে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের মাধ্যমে রাজনৈতিক জীবনে প্রবেশ করেন। জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি এবং যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের নিকট অতি পরিচিত একজন ব্যক্তিত্ব মোঃ কামাল হোসেন। ছাত্রজীবন থেকে রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে আজও একই দলের আদর্শ লালন করে চলছেন। তিনি বিএনপিকে মনে প্রাণে ভালোবাসেন। সেই ভালোবাসার কারণে দীর্ঘদিন ক্ষমতার বাহিরে থাকা দলের সাথে সম্পৃক্ত থেকে দলীয় কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহন করে যাচ্ছেন। সম্প্রতি তিনি দৈনিক ব্রাহ্মণপাড়া-বুড়িচং সংবাদের আয়োজনে ফেইস টু ফেইস অনুষ্ঠানে একান্ত আলাপ কালে বলেন- আমি নিজেও জানি না কিভাবে রাজনীতিতে আসলাম। এক সময় দেখলাম আমি রাজনীতির সাথে জড়িয়ে গেছি। যে পরিবারে আমার জন্ম তারা সামাজিক ও রাজনীতির সাথে জড়িত। তবে কখন জানি নিজেকে রাজনীতির সাথে বেশি জড়িয়ে ফেলেছি তা জানি না। আমি ১৯৮৭ সালে যখন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয় কলেজে ইনটারমিডিয়েটে ভর্তি হই, তখন থেকে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হই। তারপরে বুড়িচং উপজেলা ছাত্রদলের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হয়ে যাই। কিভাবে যে রাজনীতির সাথে গভীর ভাবে জড়িয়ে যাই, তা কিন্তু বলতে পারবো না। এক পর্যায়ে উপজেলা ছাত্রদলের আহবায়ক নির্বাচিত হই এবং পরবর্তীতে উপজেলা ছাত্রদলের সভাপতির দায়িত্ব পালন করি। একপর্যায়ে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির বুড়িচং উপজেলার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছি। আমরা যারা রাজনীতি করি তাদের কাছে নির্বাচনটা একটা পরীক্ষা। যেহেতু পড়া লেখা করি সেহেতু পরীক্ষা তো দিতেই হবে। যেহেতু এলাকায় আছি সময় সুযোগ হলে নির্বাচন করতে পারি। কখন কিভাবে করবো তা বলতে পারবো না। আমি দীর্ঘদিন নির্বাচন থেকে দুরে রয়েছি। ২০০৩ই সালে আমি বুড়িচং সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করি। তখন তো দলীয় প্রার্থী ছিল না। অঞ্চল ভিত্তিক চেয়ারম্যান প্রার্থী নির্ধারণ করা হতো। আমাকেও আমার সমাজের মানুষ তাদের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে নির্ধারণ করে। আঞ্চলিকতার টানের কারণে হয়তো আমি ফেল করেছি। বিষয়টা আমি বুঝতে পারি নাই। রাজনীতির বাহিরেও সামাজিক অনেক দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাছাড়া আমাদের একটি বড় গোষ্ঠি রয়েছে-সেই গোষ্ঠির নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে। তাই রাজনীতি থেকে অনেকটা দুরে রয়েছি। আমি মনে করি কোন দলেই গ্রæপিং নেই। জাতীয় পর্যায়ে কিছুটা গ্রæপিং থাকলেও জেলা ও উপজেলায় কোন গ্রæপিং দেখতে পাই না। আমি এক সময় উপজেলার নেতৃত্বে দিয়েছি। আমার পরবর্তীতে অন্যজন নেতৃত্বে দিচ্ছে। একই জায়গা যদি অনেকে নেতৃৃত্ব দিতে চায়, দেখা গেল আমার পছন্দের কিছু লোক রয়েছে তারা আমার নেতৃত্বকে পছন্দ করে, আবার অন্যজনের নেতৃত্বে যারা আছে তারা তাকে পছন্দ করে। এতে বাহির থেকে দেখলে মনে হয় যে আমাদের মধ্যে গ্রæপিং দেখা যাচ্ছে। কিন্ত প্রকৃত পক্ষে আমাদের মধ্যে কোন ধরনের গ্রæপিং নেই। তবে প্রতিযোগীতা রয়েছে। প্রতিযোগীতার মাধ্যমে আগামী দিনের প্রকৃত নেতৃত্বে সৃষ্টি হবে। আমি দলের নমিনেশন চাইব কিনা, তা এই এলাকার নেতা কর্মীরা ঠিক করবে। দীর্ঘদিন যেহেতু দলের সাথে সম্পৃক্ত রয়েছি, সেই আলোকে কেন্দ্রের নিকট একটা আবেদন করে ছিলাম কিন্ত মাঠ পর্যায়ে সেই বিষয়ে কোন আলাপ আলোচনা করি নাই। বিএনপি এখন মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করছে। ভোটের অধিকার নিয়ে সেই ১৯৭১ সাল থেকে আন্দোলন করে আসছি। আমরা কি হতভাগা জাতি আজও আমারা সেই ভোটের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করতে হচ্ছে। শহিদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান এদেশের মানুষের নিকট গণতন্ত্র ফিরিয়ে দিয়েছিলেন। তখন এদেশের মানুষ জিয়াউর রহমানের মাধ্যমে ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছিল। পরবর্তীতে সেই অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়েছে। আমরা আবারও দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া ও তারুণ্যের অহংকার তারেক রহমানের নেতৃত্বে সাধারণ মানুষের ভোটের অধিকার নিয়ে আন্দোলন করে যাচ্ছি। কুমিল্লা দক্ষিণ জেলার সদস্য সচিব হাজী জসিম উদ্দিন জসিম ভাই বর্তমানে দুই উপজেলার নেতৃত্ব দিচ্ছেন। দুই উপজেলার প্রত্যেকটি ইউনিয়নে তার নেতা কর্মী রয়েছে। অধ্যাপক মোঃ ইউনুছ সাহেবের পরে তিনিই একমাত্র ব্যক্তি। আমি মনে করি জসিম উদ্দিন জসিম-ই এই আসনের জন্য উপযুক্ত প্রার্থী। মাদকের বিষয়ে সরকারকে দোষ দিয়ে কোন লাভ নেই। মাদক নির্মূল করতে হলে আমাদের সামাজিক আন্দোলন করতে হবে। মাদকের ভয়াবহতা থেকে দুই উপজেলাকে রক্ষা করতে সরকারের পাশাপাশি আমাদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে। আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে, আর তাহলেই এ অঞ্চল মাদক মুক্ত করা সম্ভব হবে।

  • বুড়িচং
  • ব্রাহ্মণপাড়া