বুড়িচংয়ে আড়াই বছরের শিশুকে গলা টিপে হত্যার অভিযোগ

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ বছর আগে

Spread the love

কুমিল­ার বুড়িচং উপজেলা ষোলনল গ্রামে সাবিহা আক্তার নামের এক কন্যা শিশুকে হত্যা করে ঘরের সোফার নিচে লুকিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।(৩০ আগস্ট ২০২৩) বুধবার বিকেলে ঘটনাটি ঘটে ষোলনল গ্রামের পীরের বাড়িতে।বিষয়টি নিশ্চিত করেন বুড়িচং থানার এস আই নুরুল ইসলাম। নিহতের মা সাজেদা আক্তার ফাতেমা ও নানী শাহেনা আক্তার জানান, বুধবার বিকেলে আড়াই বছরের কন্যা শিশু সাবিহা আক্তার প্রতিদিনের ন্যায় পাশের ঘরের আকলিমার সন্তানের সাথে খেলাধুলার করতে যায়। ওইদিন বিকেলে কোনো এক সময় সকলের অজান্তে সাবিহাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ঘরের ভিতর টি-টেবিলের সাথে সোফার নিচে লুকিয়ে রাখেন আকলিমা আক্তার। সন্ধ্যায় বাড়ির চারদিকে অনেক খোঁজাখুঁজি করে শিশু সাবিহাকে না পেয়ে আকলিমার ঘরে তল­াশি চালিয়ে সোফার নিচে লাশ দেখতে পায় ননদ খোশেদা আক্তার। পরে স্থানীয়রা বুড়িচং থানার পুলিশকে খবর দিলে এসআই নুরুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্স গিয়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে প্রাথমিকভাবে সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে এবং কুমিল­া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। জানা যায়,চান্দিনা উপজেলার শ্রীরামপুর গ্রামের সোহাগ মিয়া স্ত্রী সাজেদা আক্তার ও কণ্যান সন্তান সাবিহাকে নিয়ে বুড়িচং উপজেলার ষোলনল গ্রামে শ্বশুর বাড়িতে থেকে দীর্ঘদিন মিস্ত্রি কাজ করতেন। তাদের বাড়িতে থাকা অবস্থায় পাশের ঘরের মোক্তার হোসেনের বিবাহিত মেয়ে আকলিমার সাথে ঝগড়া হয়েছিল সাবিহা আক্তারের মা সাজেদা আক্তার ফাতেমার। তখন থেকেই তাদের সম্পর্ক দূরত্বের সৃষ্টি হয়। এরই জের ধরে সাবিহাকে গলা টিপে হত্যা করে আকলিমা। অভিযুক্ত আকলিমা বুড়িচং সদরের উত্তরপাড়া আলামীনের স্ত্রী। এ বিষয়ে বুড়িচং থানার ওসি আবুল হাসানাত খন্দকার বলেন,শিশুর লাশ উদ্ধার করে কুমিল­া মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। অভিযুক্ত নারীর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। একজনকে আটক করা হয়।

  • বুড়িচং