কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানে ঘটেছে ব্যতিক্রমী এক ঘটনা। নাচ-গানের পরিবর্তে আয়োজন করা হয়েছে কোরআন খতমের। গত বৃহস্পতিবার (৩১ আগস্ট) রাতে পৌরসভার কমলপুর গ্রামের গাজী বাড়িতে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন হয়। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, শুক্রবার (১ সেপ্টেম্বর) কমলপুর গ্রামের ব্যবসায়ী গাজী মো. দেলোয়ার হোসেনের সৌদিপ্রবাসী ছেলে গাজী মো. রবিউল হাসানের বিয়ের দিন ধার্য করা হয়। প্রচলিত রীতি অনুযায়ী আগের দিন রাতে বাড়িতে গায়ে হলুদের আয়োজন করা হয়। হঠাৎ করে বিয়ে বাড়িতে কোরআন হাতে ১০ জন হাফেজ উপস্থিত হলেন। হলুদমঞ্চে বসে তারা শুরু করেন কোরআন তেলাওয়াত। মুহূর্তেই এই খবর ছড়িয়ে পড়ে চারদিকে। ব্যতিক্রমী এ আয়োজন দেখতে বিয়ে বাড়িতে ভিড় জমান অনেকে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও ছড়িয়ে পড়ে ব্যতিক্রম এ আয়োজনের ছবি। এতে প্রশংসায় ভাসেন আয়োজক। এ বিষয়ে বর গাজী মো. রবিউল হাসানের বাবা গাজী মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন, বিয়ে একটি পবিত্র বন্ধন। তাই নাচ-গানের পরিবর্তে বিয়ের আনুষ্ঠানিকতা শুরু করেছি কোরআন খতমের মাধ্যমে। ইসলামি শরিয়াহ মোতাবেক সব আয়োজন সম্পন্ন করেছি। তিনি আরও বলেন, আমার এ আয়োজনকে সবাই স্বাগত জানিয়েছেন। সবাই আমার সঙ্গে একমত হওয়ায় আমিও খুশি। স্থানীয় ২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম পাটোয়ারী বলেন, গায়ে হলুদের অনুষ্ঠানগুলোতে সচরাচর নাচ-গানের উৎসব দেখা যায়। সেক্ষেত্রে সৌদিপ্রবাসী গাজী মো. রবিউল হাসানের গায়ে হলুদ অনুষ্ঠান ছিল ব্যতিক্রম। ইসলামের রীতিনীতি অনুসরণ করে সেখানে কোরআন খতমের আয়োজন করা হয়। এটা দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।