কুমিল্লা জেলা সদরের উত্তরাংশে চাঁনপুর এলাকায় গোমতী নদীর উপর নির্মিত স্টীলের ব্রীজ। যাকে চাঁনপুর ব্রীজ নামে অত্র এলাকার মানুষ চিনে থাকে। এই ব্রীজটির উপর দিয়ে কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার কিছু অংশ, বুড়িচং উপজেলা, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা, ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা উপজেলাসহ বিভিন্ন উপজেলার হাজার হাজার মানুষ যাতায়াত করে। কুমিল্লা ও ব্রাহ্মণবাড়ীয়া দুই উপজেলার মানুষের আন্তঃযোগাযোগের একমাত্র মাধ্যমে হলো কুমিল্লা-বাগড়া-কসবা সড়ক। কুমিল্লা থেকে বাগড়া হয়ে ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার কসবা উপজেলার ও আখাউড়া উপজেলার মানুষ প্রতিনিয়তই তাদের নিত্যদিনের কার্যক্রমের জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। কুমিল্লা জেলার মানুষ তাদের প্রয়োজনে ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় এই সড়কের মাধ্যমে আসা যাওয়া করে এবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়ার মানুষ তাদের প্রয়োজনে এই সড়কের মাধ্যমে কুমিল্লা আসা যাওয়া করে থাকে। তাই দুই জেলার জন্য এই সড়কটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দুই জেলার হাজার হাজার মানুষের দুর্ভোগের অপর নাম চাঁনপুর ব্রীজ। এই ব্রীজটি সরু হওয়ায় প্রায় সময়ই যানজট লেগেই থাকে। এক পাশ দিয়ে কোন গাড়ী প্রবেশ করলে অপর পাশের গাড়ীগুলো দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। যার ফলে অনেক সময় অসুস্থ রোগী নিয়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়। গোমতী নদীর উপর নির্মিত চাঁনপুর ব্রীজটির উপর দিয়ে ভারী কোন যানবাহন চলাচল করতে পারে না। বাস এবং ট্রাক্টর চলতে পারে না। মাঝে মধ্যে এই সড়কটি কুমিল্লা সিলেট সড়ক হিসেবে ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া কুমিল্লা-বাগড়া-কসবা সড়কটিও বিভিন্ন স্থানে ভেঙ্গে চুরে খানা খন্দকে পরিণত হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলে অনেক অসুবিধা হয় এবং যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হয়। শশীদল এলাকার এক যাত্রী বলেন, আমরা কুমিল্লা শহরে প্রায় সময়ই যাতায়াত করতে হয়। কিন্ত চাঁনপুর এলাকার ব্রীজটি সরু হওয়ায় অনেক সময় নষ্ট হয়। যানজট লেগেই থাকে। এই ব্রীজটি দ্রæত ভেঙ্গে নতুন করে ব্রীজ নির্মাণের দাবী জানান এলাকাবাসী। কালিকাপুর এলাকার সিএনজি চালক তফাজ্জল হোসেন বলেন, কুমিল্লায় যাত্রী নিয়ে আসা-যাওয়া করতে আমাদের তেমন কোন কষ্ট নেই তবে মাঝে মধ্যে চাঁনপুর ব্রীজ এলাকায় যানজট লেগে যায়। এতে অনেক সময় দাঁড়িতে থাকতে হয়। এটাই একমাত্র দুর্ভোগ। তাই এই ব্রীজটি দ্রæত ভেঙ্গে ফেলে নতুন বড় আকারের ব্রীজ নির্মাণ করা প্রয়োজন, যেন দুইটি গাড়ী একসাথে আসা যাওয়া করতে পারে। এতে যাত্রীদের সময় বাঁচবে এবং আমাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে।