বছর জুড়েই রাজধানীসহ সারাদেশে কমবেশি সক্রিয় থাকে জাল নোট তৈরির বেশ কয়েকটি চক্র। চলমান সব ধরনের নোট জাল করে নানা কৌশলে তা বাজারে ছাড়ছে চক্রগুলো। এছাড়া ছিনতাইকারী, পকেটমার ও নারী চোরের সক্রিয় কিছু চক্র কাজ করছে। তবে ঈদকে সামনে রেখে জাল নোট তৈরির চক্রগুলো সব থেকে বেশি সক্রিয় থাকে। তাছাড়া ছিনতাইকারী চক্রের দৌরাত্মও বৃদ্ধি পায়। যে কোনো উৎসবকে প্রাধান্য দেয় এই চক্রগুলো। এ সময় তারা নানা কৌশল অবলম্বন করে বাজারে মোটা পরিমাণে জাল নোট ছড়ানোর চেষ্টা করে। তার সাথে পাল্লা দিয়ে নারী ও পুরুষের কিছু ছিনতাইকারী এবং চোরের চক্র হাট-বাজার ও মার্কেটগুলোতে সক্রিয় হয়। এই চক্রগুলো বিভিন্ন কলা-কৌশলে সাধারণ মানুষদের টাকা-পয়সা ছিনতাই করে নিয়ে যায়। ছোট ছোট বিভিন্ন গ্রæপ ভাগ হয়ে টার্গেটকৃত ব্যক্তি অথবা প্রতিষ্ঠানের আশে পাশে ঘুর ঘুর করতে থাকে এবং সুযোগ পেলেই কার্য হাসিল করতে দেরি করে না। বাণিজ্যিক ব্যাংকগুলোতেও কিছু চক্র সক্রিয় থাকতে দেখা যায়। ব্যাংকে আসা গ্রাহকদের মধ্যে থেকে এক দুইজনকে টার্গেট করে তার আসে পাশে চক্রের সদস্যরা সুযোগ খুঁজতে থাকে। কিভাবে তাকে বোকা বানিয়ে টাকা নিয়ে লাপাত্তা হতে পারে। জাল নোট চক্রের কারণে ঈদকে সামনে রেখে আতঙ্ক বিরাজ করছে ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের মধ্যে। কারণ ঈদকে সামনে রেখে বিভিন্ন মার্কেটের ব্যবসায়ী ও ক্রেতাদের টার্গেট করে চক্রটি। জাল টাকার চক্র এবং ছিনতাইকারীদের ধরতে বুড়িচং এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানার পক্ষ থেকে বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে পুলিশের মনিটরিং টিম মোতায়েন করা হয়েছে। মনিটরিং টিমের সদস্যরা হাট-বাজারগুলোতে টহল অব্যাহত রাখছে। যাতে করে কোন ক্রেতা কিংবা বিক্রেতা এই চক্রের হাতে সর্বশান্ত না হয়। ব্যাংকগুলোর পক্ষ থেকে মনিটরিং জোরদার করা হয়েছে। এছাড়া ব্যাংকগুলোতে যেন কোন চোর ও ছিনতাইকারী চক্র প্রবেশ করতে না পারে এবং গ্রাহকদের কাছ থেকে টাকা পয়সা ছিনতাই করতে না পারে সেই বিষয়েও মনিটরিং বৃদ্ধি করা হয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, আসন্ন ঈদ উপলক্ষে জাল টাকার বিষয়ে ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষকে সচেতন করতে বিশেষ নির্দেশনা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। নির্দেশনায় দেশের ৫৬টি বাণিজ্যিক ব্যাংককে আসল নোটের নিরাপত্তা বৈশিষ্ট্য সংবলিত ভিডিও চিত্র প্রদর্শনের জন্য বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। বুড়িচং থানার অফিসার ইনচার্জ আবুল হাসানাত খন্দকার বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে হাট-বাজার ও শপিংমলগুলোতে যেন ছিনতাই চুরির ঘটনা না ঘটে সেই জন্য পুলিশের টিম মনিটরিংয়ে রয়েছে। আমার থানা এলাকায় জাল টাকা বিস্তারের কোন ম্যাসেজ আমার কাছে নেই। ব্রাহ্মণপাড়া থানার অফিসার ইনচার্জ এস এম আতিক উল্ল্যাহ বলেন, ব্রাহ্মণপাড়া থানা এলাকায় জাল টাকার কোন প্রাদর্ভাব নেই। যদি জাল টাকার কোন সিন্ডিকেটের খরব পান আমাদেরকে জানাবেন আমরা ধরবো।