পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপন শেষে কর্মজীবী মানুষ ফিরতে শুরু করেছে ব্যস্ত রাজধানী ঢাকায়। কর্মস্থলগামীরা বলছেন এবার অনেকটা স্বস্তি নিয়েই তারা ঢাকায় ফিরছেন। কোথাও যানজট নেই, বিভিন্ন পরিবহনে বাড়তি ভাড়া নেওয়ার অভিযোগও তেমন মেলেনি। কোনো ভোগান্তি পোহাতে হয়নি টিকিট পেতে।
রোববার (২ জুলাই) সকালে গাবতলীর বাস কাউন্টার ঘুরে দেখা যায়, বিভিন্ন জেলা থেকে ঢাকায় আসা গাড়িগুলো গাবতলী ব্রিজ ও কাউন্টারের সামনে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে। বাস থেকে নেমে, গন্তব্যের উদ্দেশ্যে সিএনজি, মোটরসাইকেল কিংবা রিকশার খোঁজ করছেন যাত্রীরা।
তবে এখনও ঈদ করতে ঢাকা থেকে মানুষ বিভিন্ন এলাকায় যাচ্ছে। অল্প যাত্রী হলেও নির্ধারিত সময়ে ঢাকা ছেড়ে যাচ্ছে বাসগুলো।
পাবনার শাহজাদপুর থেকে আসা মোস্তফা বলেন, কোনো জ্যাম নাই। নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়েছে। বাস ছেড়েছে সকাল ৮টায়। সাড়ে ১১টার আগেই গাবতলী এসেছি। আগেও ৭০০ টাকা ভাড়া ছিল, আসার সময়ও ৭০০ টাকা ভাড়া দিয়ে ঢাকায় আসলাম।
বেসরকারি এই চাকরিজীবী বলেন, ঈদের দুইদিন বাড়ি গিয়েছিলাম। তখনও স্বস্তি নিয়ে গিয়েছি। এবার ঈদযাত্রা ভালো হয়েছে।
রোজিনা এন্টারপ্রাইজের ম্যানেজার আমিরুল ইসলাম বলেন, রংপুর থেকে সকাল ৮টার মধ্যে সব গাড়ি গাবতলীতে পৌঁছেছে। কোনো গাড়ি দেরি করেনি। সড়কে কোনো যানজট নাই তাই দেরি ও হচ্ছে না।
রয়েল এক্সপ্রেসের কাউন্টার ম্যানেজার মিলন জানান, সকাল থেকে নির্ধারিত সময়েই গাড়িগুলো এসেছে। বেলা ১১টার মধ্যে ৭টা গাড়ি আসার কথা, সবগুলোই এসেছে।
শ্যামলী পরিবহনের ম্যানেজার প্রকাশ বলেন, গাড়ি সময়মতো আসছে। এবার ঝামেলাও কম। ঢাকা ছেড়ে যাত্রীরা যাচ্ছে। তবে যাত্রী সংখ্যা কম, সীমিত যাত্রী নিয়ে যাচ্ছে। ১০ জন হলেও বাস ছেড়ে দিচ্ছে।
টাঙ্গাইল বাইপাস থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র আকাশ বলেন, ১৮০ টাকা ভাড়া। স্ট্যান্ডিং টিকিটে ২০ টাকা বেশি দিয়ে আসলাম। যানজট নাই, কোথাও বাস থামায়নি। দ্রুতই ফিরতে পেরেছি।