কুমিল্লায় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হত্যার প্রধান আসামী আমান ও সাঈদকে গত শনিবার রাতে কুমিল্লা ও খাগড়াছড়ির পানছড়ি থেকে গ্রেফতার করেছে ডিবি পুলিশ। সূত্রে জানা যায়, শনিবার রাতে খাগড়াছড়ির পানছড়ি ও কুমিল্লা শহর থেকে গ্রেপ্তার করা হয় হত্যা মামলার দুই নম্বর আসামি কাজী আমান উল্লাহ, তিন নম্বর আসামি আবু সাইদ, সাত নম্বর আসামি কাজী নিজাম উদ্দিন ও ১০ নম্বর আসামি জাকির হোসেনকে। হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত সুইচ গিয়ার ছুরিটি জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলা থেকে উদ্ধার করা হয় বলে জানান পুলিশ । রবিবার দুপুর ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে বিষয়টি নিশ্চিত করেন কুমিল্লা পুলিশ সুপার এসপি আবদুল মান্নান। তিনি জানান, ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন ও মসজিদ কমিটি নিয়ে আসামিদের সঙ্গে আগে থেকেই বিরোধ ছিল আওয়ামী লীগ নেতা এনামুলের। মামলার এক নম্বর আসামি জহিরের ফেনসিডিল সেবনের একটি ভিডিও স¤প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। ওই ভিডিও ক্লিপটি এনামুলও ফেসবুকে শেয়ার করেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে এনামুলকে হত্যার পরিকল্পনা করেন জহির, আমানসহ আরও কয়েকজন। গত শুক্রবার জুমার নামাজ পড়ে বাড়ি আসার পথে সন্তানের সামনে কুপিয়ে ও গলা কেটে এনামুলকে হত্যা করেন জহিরসহ অন্যরা। এসপি জানান, এ ঘটনায় নিহতের বাবা আবদুল ওয়াদুদ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন৷ মামলায় ১০ জনের নাম উল্লেখ ও ছয়জনকে অজ্ঞাতনামাসহ ১৬জনকে আসামি করা হয়। এই মামলায় মোট ৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকি আসামীদের দ্রæত গ্রেফতার করার জন্য পুলিশের অভিযান অব্যহত আছে। উল্লেখ্য যে, গত (১৯ মে শুক্রবার) জুমার নামাজের পর কুমিল্লা জেলার আদর্শ সদর উপজেলার আলেখারচর এলাকায় সন্তানের সামনে গলা কেটে হত্যা করা হয় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা এনামুল হককে।