দাউদকান্দিতে চেইন চুরির অপবাদ সইতে না পেরে আব্দুল হাকিম (২৫) নামে এক যুবক বিষপান করেছেন। শনিবার রাতে তাকে দাউদকান্দি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে প্রেরন করা হয়। আব্দুল হাকিম উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের দশপাড়া গ্রামের মৃত কবির হোসেনের ছেলে। জানাযায়, গত ১২ নভেম্বর দশপাড়া গ্রামের রবি মিয়ার ঘর থেকে তার মেয়ের একটি স্বর্ণের চেইন চুরি হয়। পরদিন সেই চুরির অপবাদ দিয়ে হাকিমকে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে মারধর করেছেন বলে তাঁর মা রেজিয়া বেগম জানান। তিনি মুঠোফোনে বলেন, পাশের বাড়ীর রবি, বারেকসহ ৪-৫ জন লোক ঘর থেকে হাকিমকে ধরে নিয়ে রাস্তায় মারধর শুরু করে। ছেলের চিৎকার শুনে আমি দৌড়ে গেলে আমাকেও মারধর করে। পরে ছেলেকে বেধে রেখে আরো মারার ভয় দেখিয়ে আমার সামনেই মোবাইলে স্বীকারোক্তিমূলক কথা রেকর্ড করেন। পরে ১০ দিনের মধ্যে চেইনের সমপরিমান টাকা দেয়ার কথা বলে ছেড়ে দেয়। শনিবার টাকার জন্য বাড়ীতে হুমকি দেয়। এরপর আমার ছেলে বিষ খায়। এখন ছেলেকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেল আছি, আল্লাহ আমার ছেলেকে যেন বাচিয়ে দেয় আর তাদের বিচার আল্লার কাছে দিলাম। এদিকে রবি মিয়া বলেন, আমার মেয়ে ঘুমিয়ে ছিল, হাকিম জানালা দিয়ে মেয়ের গলার চেইনটি নিয়ে যায়। এজন্য তাকে বাড়ী থেকে ডেকে বারেক মিয়াসহ এলাকার লোকজনের সামনে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে, কোন মারধর করা হয়নি। এঘটনা এরাকার মেম্বার বা চেয়ারম্যানকে জানানো হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা একই বাড়ীর তাই কাউকে জানাইনি। সুন্দলপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি প্রতিবেশী বাবুল মিয়া বলেন, বিষ খাওয়ার পরে ঘটনাটি শুনেছি। হাকিম চুরি করে থাকলে তাকে পুলিশে দিত, কিন্তু এভাবে মারধর করা ঠিক হয়নি। দাউদকান্দি মডেল থানার ওসি মো: মোজাম্মেল হক বলেন, যদিও হাকিম আগে চুরির অভিযোগে জেল খেটেছে, তারপরও কেউ আইন নিজের হাতে তুলে নিতে পারেনা। অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেয়া হবে।