ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে সৃষ্ট নিম্নচাপে ঝরা বৃষ্টির কারণে শীতকালীন সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার চাষিরা। শুক্রবারের টানা বৃষ্টিতে পানি জমেছে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের কিছু কিছু ক্ষেতে। ফলে সদ্য বপন করা সবজি বীজ ও রোপণ করা সবজির চারা নষ্টের শঙ্কায় উপজেলার শীতকালীন সবজি চাষিরা। কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় শীতকালীন সবজির লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩১০ হেক্টর। তবে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে সৃষ্ট এই বৈরী আবহাওয়া কাটিয়ে এ উপজেলায় শীতকালীন সবজি লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি অর্জিত হবে বলে আশা করছেন স্থানীয় কৃষি বিভাগ। শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) সরেজমিন দেখা গেছে, উপজেলার সিদলাই, দুলালপুর ও সদর ইউনিয়নের শীতকালীন সবজির মাঠে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে ঝড়ো বাতাস ও টানা বৃষ্টির কারণে কোথাও কোথাও ক্ষেতে জমেছে পানি। কোনো কোনো ক্ষেতের বেড়ে ওঠা সবজি বাতাসে নুইয়ে পড়েছে মাটির সাথে। সদ্য সবজি বীজ বপন করা ক্ষেতে পানি জমার ফলে সবজি বীজ নষ্টের শঙ্কায় রয়েছে চাষিরা। এদিকে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির প্রভাবে আমন ধানের মাঠেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে কোনো কোনো আমন ক্ষেতে। ঝড়ো বাতাসে কোনো কোনো ক্ষেতের ধান মাটির সাথে এলিয়ে পড়েছে। এতে আমন ধান নষ্ট হওয়ায় শঙ্কায় রয়েছে চাষিরা। উপজেলার দুলালপুর এলাকার সবজি চাষি এনামুল বলেন, ১৫ শতক জমিতে ফুলকপি ও বাঁধাকপি আবাদ করেছিলাম। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সবজি ভালোমতো বেড়ে উঠছিল। হঠাৎ করে আসা ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কারণে ঝরা টানা বৃষ্টিতে সবজির ক্ষতির আশঙ্কায় আছি। উপজেলা সদরের সবজি চাষি সোহেল রানা বলেন, অসময়ের বৃষ্টি ও বাতাসের আক্রমণে জমিতে আবাদ করা নানা জাতের শীতকালীন সবজির ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। এ নিয়ে দুশ্চিন্তায় আছি। বৃষ্টিপাত যদি এরকমভাবে আরও বর্ষে তাহলে অনেক ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ মাসুদ রানা বলেন, বৃষ্টিপাতের কারণে আলুসহ অন্যান্য সবজি ফসলে পানি জমে ফসলের ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। তাই ওইসব জমি থেকে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা নেওয়া অত্যন্ত জরুরি। এ জন্যে এ বিষয়ে উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। পরবর্তীতে আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সবজি চাষে লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করবে এই ব্যাপারে আমরা আশাবাদী।