বুড়িচংয়ে শিক্ষকের ছেলে বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীর মাধ্যমে মাদক সাপ্লাইয়ের অভিযোগ

লেখক: স্টাফ রিপোটার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লার বুড়িচংয়ে ফজলুর রহমান মেমোরিয়্যাল কলেজ অব টেকনোলজির গণিত বিভাগের শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে এবং বিভাগীয় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থী মো. শিহাব হোসেনের মাধ্যমে কলেজে এবং হোস্টেল মাদক সাপ্লাইয়ের অভিযোগ পাওয়া যায়। শিহাব ফজলুর রহমান মেমোরিয়্যাল কলেজ অব টেকনোলজির দশম শ্রেণির ছাত্র। সরেজমিনে গিয়ে জানা যায় অত্র শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের গনিত বিভাগের শিক্ষক মো. আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শিহাব দীর্ঘদিন ধরে এ কলেজে এবং হোস্টেলে মাদক সাপ্লাই দিয়ে আসছে। সুনির্দিষ্ট প্রমাণ থাকার পরেও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না এ প্রতিষ্ঠানের কর্তৃপক্ষ। বরং নিজের সন্তানের দোষ অন্য শিক্ষার্থীদের ঘারে চাপাতে কয়েকজন শিক্ষার্থী থেকে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয় অধ্যক্ষ এবং আনোয়ার স্যার। শিহাবের ক্লাসের একাধিক শিক্ষার্থীর অভিযোগ ছেলেকে সবার উপরে রাখতে পরীক্ষার সময় সর্বোচ্চ সহযোগিতা করে তার বাবা। আজকেও সে ক্লাসে নাই ইউনিফর্ম পরে মোটরসাইকেল নিয়ে কোথায় যেন ঘুরতে গেছে। এর আগে এ প্রতিষ্ঠানে মাদকের সাথে জড়িত থাকায় একাধিক শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সাম্প্রতিক একটি ভিডিওতে দেখা যায় শিক্ষক আনোয়ার হোসেনের ছেলে মো. শিহাব মাদক আনতে গিয়ে সদর ইউনিয়নের জগতপুরে স্থানীয়দের হাতে আটক হয় শিহাব। এ সময় সে নিজে মুখে স্বীকারোক্তি দেয় এবং মাদক গুলো একটি সিগারেটের পেকেট থেকে বের করে জনসম্মুখে দেখায়। এ বিষয়ে জানতে শিক্ষক আনোয়ার হোসেনকে ফোন করলে তিনি বলেন, এটা প্রিন্সিপালসহ বসে সমাধান করে দিয়েছে। আপনি কলেজে আসেন আমি সহ থাকবো প্রিন্সিপালের সাথে কথা বলেন। ফজলুর রহমান মেমোরিয়াল কলেজ অব টেকনোলজির অধ্যক্ষ মো. আবু তাহের বলেন, এটা একটি ষড়যন্ত্র। তাকে ধরে নিয়ে জগতপুরের আলামিন টাকা জন্য এটা করেছে। এটার সাথে আমার কলেজের কয়েকজন জড়িত ছিলো তাদের অভিভাবক ডেকে তাদের কাছ থেকে খালি স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর রেখে তাদেরকে একটি সুযোগ দিয়েছি। এবিষয়ে ইউএনও স্যার জানে। এ বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের সভাপতি বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাহিদা আক্তার বলেন, আমি এ বিষয়ে অবগত নই। জানলে আমি অবশ্যই ব্যবস্থা নিতাম। আমি এই প্রতিষ্ঠানের সভাপতি হিসেবে ইতিপূর্বে মাদক সেবনের অপরাধে একজন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার এবং সংশোধনাগারে প্রেরণের জন্য তার পিতার নিকট হস্তান্তর করেছি। তবে শিক্ষার্থীরা শিশু, তাদের বিরুদ্ধে যে কোন ধরনের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ার পূর্বে তাদের বিরুদ্ধে কোন শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ বা সংবাদমাধ্যমে সেটা প্রচার হলে শিশুটির পুরো জীবনটা ধ্বংস হয়ে যেতে পারে।

  • বুড়িচং