বলাৎকারের অভিযোগে লালমাইয়ে মাদ্রাসার শিক্ষক আটক

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৭ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লায় মাদরাসার ছাত্র বলাৎকারের অভিযোগে মোঃ ইব্রাহিম নামে এক মাদরাসার শিক্ষককে আটক করে পুলিশে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, কুমিল্লার লালমাই উপজেলার সাধুর কলমিয়া তাহফিজুল কুরআনিল কারিম ইন্টারন্যাশনাল মাদ্রাসা পড়ুয়া এক শিশুকে বলাৎকারের ঘটনায় পরিবারের পক্ষ গত মঙ্গলবার (৬ ফেব্রæয়ারি) সন্ধ্যায় বেলঘর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন ভূঁইয়ার নিকট অভিযোগ করা হয়। ভুক্তভোগী শিশুর পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে স্থানীয় চেয়ারম্যানের নির্দেশে গ্রাম পুলিশ অভিযুক্ত শিক্ষককে ইউনিয়ন পরিষদে নিয়ে আসে। পরবর্তীতে লালমাই থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আবদুল্লা আল মাহফুজ এর নির্দেশে এস আই মনির হোসেন তাকে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে আটক করে থানায় মিয়ে যায়। আটক মাদ্রাসা শিক্ষক মো. ইব্রাহিম ফেণী জেলার ফুলগাজি উপজেলার নুরপুর গ্রামের নুরুল আমিন এর ছেলে। বেলঘর দক্ষিণ ইউপির সদস্য শাহাআলম জানান, প্রেমনল গ্রামের এতিম ছেলে (১০) মাদ্রাসার হেফজখানার নাজেরা শাখায় পড়াশোনা করত। গত শনিবার সকাল ১০ টায় শিক্ষক ইব্রাহিম তাকে কৌশলে তার কক্ষে ডেকে নিয়ে বলাৎকার করে। পূর্বেও ৭/৮ বলাৎকার করার কথা জানান শিশুটি। এবিষয়ে মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা সাইফুল ইসলামকে বারবার শিশুটি তার নির্যাতনের কথা জানালেও কোন প্রতিকার পায়নি। শনিবার (৩ ফেব্রæয়ারি) ওই ছাত্র ফের একই ঘটনার স্বীকার হলে সে মাদ্রাসা থেকে পালিয়ে এসে বিষয়টি তার দাদাকে জানায়। দাদা স্থানীয় (ইউপি সদস্যকে) জানান। তিনি বিষয়টি জানতে পেরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ও গণ্যমান্য ব্যক্তিদের জানিয়ে ওই শিক্ষককে আটক করে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় লালমাই থানায় খবর দেন। এছাড়া এই প্রতিষ্ঠান পূর্বেও বলাৎকার সহ শিশু নির্যাতনের ঘটনা একাধিকবার ঘটেছে। এলাকাবাসীর অভিমত মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা সাইফুল ইসলাম এসব অন্যায়কে প্রশ্রয় দেন বলে বারবার এই ধরনের অপরাধ সংঘটিত হয়। মাদ্রাসায় কোন ঘটনা ঘটলে তা ধামাচাপা দেয়ার জন্য রয়েছে তার নিজস্ব বাহিনী। তাদের কাজ হলো পেশি শক্তি বা অর্থের বিনিময়ে যেকোন ঘটনাকে ধামাচাপা দেওয়া। এঘটনায় সাংবাদিকরা সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে দেখেন মাদ্রাসার দেওয়ালে থাকা সাইনবোর্ড সরিয়ে নিয়েছেন। লালমাই থানার ওসি মোহাম্মদ আবদুল্লা আল মাহফুজ বলেন, ‘গ্রেপ্তার ইব্রাহীমকে বুধবার আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। তারা ভুক্তভোগী শিশুর ডিএনএ পরীক্ষার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এছাড়া লালমাই থানায় মামলা নং-০৩ তারিখ ৭ ফেব্রæয়ারী ২০২৪ ধারা ৯ (১) ২০০০ সালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ২০০৩ সংশোধনী রুজু করা হয়।

  • লালমাই