নিজস্ব প্রতিবেদক।।
লেখা-পড়ার পাশাপাশি খেলাধুলায় শরীর মন ভালো রাখে তা আমি শ্রেণী শিক্ষকের কাছ থেকে শুনেছি। কিন্তু বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পেরেছি দৌড় প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে প্রথম হয়ে পুরস্কারটি হাতে পাওয়ার পর। এমন সুন্দর অনুষ্ঠান থেকে পাওয়া এটি আমার জীবনের প্রথম পুরস্কার। খুবই আনন্দীত আমি। এখন থেকে লেখা পড়া করার পাশাপাশি বিভিন্ন প্রতিযোগীতায় অংশ নিবো। আগে যেখানে আমি কারো সাথে কথা বলতে আনইজি ফিল করতাম, এবার বিদ্যালয়ের বার্ষিক ক্রিয়া প্রতিযোগীতায় অংশ নিয়ে আমার অনেক বিষয়ে জড়তা কেটেছে। আমি শিখেছি সাহস নিয়ে চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার কৌশল। আজকের পুরস্কার আমার আত্মবিশ্বাস ও এগিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে মনোবল বাড়াবে। এভাবেই হাসিমাখা অবয়বে নিজের কথা গুলো বলেছে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র মো.আলামিন। বার্ষিক ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে ওই ছাত্রের সাথে কথা হয় এই প্রতিবেধকের। গতকাল মুরাদনগর উপজেলার ৮৩নং করিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ জমকালো অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। অনুষ্ঠানে বিদ্যালয়টির শিক্ষক মো. ইলিয়াস মুন্সির চমৎকার উপস্থাপনায় ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার ফওজিয়া আক্তারের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন, উপজেলার সহকারী কমিশনার ভ‚মি মো.নাজমুল হুদা। বিশেষ অতিথি হয়ে অনুষ্ঠান অলংকৃত করেন, মুরাদনগর ১৩ নং সদর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক কাজী তুফরিজ এটন, বিদ্যালয়টির মেনেজিং কমিটির সভাপতি সহকারী অধ্যাপক মো.তকদিরুল ইসলাম, মুরাদনগর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি প্রভাষক আজিজুর রহমান রনি, ইউ.আর.সি’র ইন্সট্্েরক্টর মোহাম্মদ সহিদুল আলম ভ‚ইয়া, সহকারী শিক্ষা অফিসার মোহাম্মদ জয়নাল আবেদিন, মো.আনোয়ার হোসেন চৌধুরী,সায়মা সাবরীন, মোহাম্মদ সেলিমগীর হোসেন, টনকি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো.গাজীউল হক চৌধুরী, অবসর প্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক তাহেরা আক্তার খানম রুবি, স্থানীয় ওয়ার্ড মেম্বার মো.সিরাজুল ইসলাম প্রমুখ। বিদ্যায়টির প্রধান শিক্ষক নাছিমা আক্তার বলেন, খেলাধুলার মাঠ ও বাউন্ডারী ওয়াল না থাকা সত্তে¡ও ছেলে-মেয়েদের ভালো ফলাফল ও ক্রীড়ামুদি করতে আমরা আন্তরিক।