“নবনির্বাচিত এমপির নিকট জনগনের প্রত্যাশা অনেক” দীর্ঘদিন সংস্কার মেরামত না করায় বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার গ্রামীন সড়কগুলোর বেহাল দশা

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

Spread the love

৯টি ইউনিয়নের সমন্বয়ে বুড়িচং উপজেলা এবং ৮টি ইউনিয়ন সমন্বয়ে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা গঠিত। আর এই দুই উপজেলার সমন্বয়ে কুমিল্লা-৫ সংসদীয় আসন। এই আসনে নেতা ও নেতৃত্বের পরিবর্তন বার বার হলেও এলাকার উন্নয়ন তেমন একটা হয়নি। প্রয়াত আওয়ামীলীগের প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক আইনমন্ত্রী এডভোকেট আবদুল মতিন খসরু এই এলাকার নেতৃত্বের আসনে থাকা অবস্থায় কিছু ব্রীজ- কালভাটের কাজ হলোও রাস্তা ঘাটের তেমন একটা উন্নয়নের ছোয়া লাগে নাই। যদিও কিছু কিছু রাস্তা ঘাটের কাজ হয়েছে তবে তা কাঙ্খিত ছিল না। তারপরেও এই এলাকার জনগণের নেতা হিসেবে গ্রামীন সড়ক ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতি তার আলাদা নজর ছিল। ফলে তার নিজ নামে এবং অন্যান্য নামে প্রতিষ্ঠিত অনেক স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসাকে এমপিওভূক্ত করে দিয়েছেন। এতে শত শত পরিবারের কর্মসংস্থান হয়েছে। তিনি মারা যাওয়ায় বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার মানুষ উন্নয়নের ছোঁয়া থেকে একেবারে বঞ্চিত হয়ে যান। উপ-নির্বাচনের মাধ্যমে সাবেক এমপি এডভোকেট আবুল হাসেম খান নেতৃত্বে আসলেও এলাকার কাঙ্খিত উন্নয়ন করতে পারেন নি। যার ফলে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি সরকার দলীয় মনোনীত নৌকার প্রার্থী হয়েও পরাজিত হয়েছেন। এই আসনে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দাপটের কাছে নৌকার প্রার্থী ধরাশায়ী হয়ে যায়। যার পরিপ্রেক্ষিতে নৌকার প্রার্থী এডভোকেট আবুল হাসেম খান তৃতীয় স্থান অর্জন করেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী এম এ জাহের সবাইকে তাক লাগিয়ে জনগণের মন জয় করতে পেরেছেন। এখন তিনি এই এলাকার উন্নয়নে কেমন ভূমিকা রাখতে পারবেন সেটাই জনগণের দেখার বিষয়। তিনি সিন্ডিকেট মুক্ত থেকে জনতার অভিভাবক হিসেবে কাজ করতে পারবেন কি না, তা সময়ই বলে দিবে। তবে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া এলাকার সাধারণ মানুষ মনে করেন বর্তমান এমপি এম এ জাহের জনগণের মেন্ডেট বাস্তবায়নে কাজ করে যাবেন। তিনি খেটে খাওয়া মানুষ ও গরীব দুঃখি মানুষের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে কাজ করবেন। কুমিল্লা-৫ বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার রাস্তা ঘাটের দিকে তাকালে মনে হবে কত বছর যেন এই এলাকায় উন্নয়নমুলক কাজ হয় না। তাদের উন্নয়নমুলক কাজ করার মতো কোন অভিভাবক নেই। অভিভাবহীন এই জনপথের নতুন অভিভাবক জনগনের সকল চাওয়ার পূর্ণতা দিতে পারে তাই প্রত্যাশা করে।
কুমিল্লা- মীরপুর সড়কের বুড়িচং উত্তর বাজার এলাকাটি মরণ ফাঁদে পরিণত হয়েছে। বাজারের মাছ ব্যবসায়িরা মাছের ময়লা পানি ফেলে এমন অবস্থা করে রাখে যেন এখানে বারো মাসই বর্ষাকাল চলছে। অনেক বৃদ্ধ মানুষ আসা-যাওয়া করার সময় হোঁছট খেয়ে পড়ে যায়। তাছাড়া বাজারে আসা মানুষেরা ভোগান্তি পোহাচ্ছ। বুড়িচং বাজারে আসা শারমিন আক্তার জানান, তিনি মোবাইল ফোন ঠিক করার জন্য মোবাইল দোকানে যাওয়ার সময় দুইবার পিছল খেয়ে মাটিতে পড়ে গিয়েছেন।এই জায়গাটির দ্রæত সংস্কার মেরামত করা প্রয়োজন। এছাড়া বুড়িচং উপজেলার সদর ইউনিয়নের এরশাদ ডিগ্রী কলেজ গেইট হতে হাজী ফজর আলী স্কুল হয়ে দারুস সালাম মাদানীয়া মাদরাসা এবং বুড়িচং সুন্নিয়া সিনিয়ার আলীম মাদরাসার সড়কটি দীর্ঘ দিন কোন প্রকার সংস্কার মেরামত করা হয়নি। বুড়িচং কেন্দ্রীয় ঈদগা থেকে জরুইন পর্যন্ত সড়কটি চলাচলে অনুপযোগী হয়ে আছে। রামপুর থেকে ভারেল্লা পর্যন্ত সড়কটি সংস্কার মেরামতের অভাবে বেহাল দশা হয়ে আছে। বাগান বাড়ি থেকে রাজাপুর হাইস্কুল পর্যন্ত সড়কটি মেরামত করা প্রয়োজন। এছাড়া আরাগ আনন্দপুর থেকে কন্ঠনগর গ্রামীন সড়ক,ভরাসার বাজার থেকে পয়াত পর্যন্ত, আরাগ আনন্দপুর হতে পীরযাত্রাপুর সড়ক ও আগানগর থেকে শিকারপুর ও মিথিলাপুর পর্যন্ত সড়কগুলোর অবস্থা অনেকটা নাজুক হয়ে আছে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা টানা ব্রীজ থেকে মন্দবাগ পর্যন্ত, জিরুইন বাজার থেকে চন্ডিপুর ও আসাদনগর আবদুল মতিন খসরু কলেজ গেইট পর্যন্ত, ব্রাহ্মণপাড়া থেকে দুলালপুর পর্যন্ত, দুলালপুর বালি না সড়ক অত্যন্ত নাজুক অবস্থায় পড়ে আছে। স্থানীয়রা মনে করেন, বুড়িচং ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার নতুন অভিভাবক এম এ জাহের এই সড়কগুলোর প্রতি দৃষ্টিপাত করবেন এবং দ্রæত সংস্কার মেরামত করার ব্যবস্থা করবেন।

  • বুড়িচং
  • ব্রাহ্মণপাড়া