চৌদ্দগ্রামে বিনামূল্যের সরকারি বই বিতরণে টাকা নেয়ার অভিযোগ

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের বাতিসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নতুন বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের থেকে ৫০ টাকা করে হারে আদায় করে বিনামূল্যের সরকারি বই বিতরণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার দুপুরে সরেজমিন বই বিতরণকালে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নেয়ার চিত্রটি ভিডিও আকারে ধারণ করা হয়। উপজেলা থেকে বই আনতে যে খরচ হয়েছে, খরচের ওই টাকা মেটাতে শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নেয়া হয়েছে বলে দাবি করেন ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী মমতাজুল করিম মামুন। টাকা আদায়ের বিষয়টি জানাজানি হওয়ায় সর্বত্র সমালোচনা চলছে। জানা গেছে, সারাদেশের ন্যায় উপজেলার বাতিসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়েও সোমবার বই উৎসব পালন করে। বই বিতরণকালে শিক্ষকরা প্রত্যেক শিক্ষার্থী থেকে ৫০ টাকা হারে আদায় করেছে বলেও অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির এ সময়ে বাড়তি ৫০ টাকা হারে আদায় করে বই বিতরণের কারণে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন অনেক অভিভাবক। তারা বলছেন, শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে ভর্তির পরও বাড়তি ৫০ টাকা হারে আদায় নিয়ম বহির্ভুত। বিষয়টি খতিয়ে দেখতে সরকারের শিক্ষামন্ত্রী ও জেলা শিক্ষা কর্মকর্তাসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিকট জোরদাবি জানিয়েছে অভিভাবকরা। এরআগে বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধন করেন বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুর রহিম মজুমদার। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী মমতাজুল করিম মামুন, অভিভাবক সদস্য আবদুস সাত্তার, মোঃ শাহাদাত হোসেন, বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শরীফুল ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম ও তাহেরা খাতুনসহ শিক্ষক-শিক্ষিকাবৃন্দ। নাম প্রকাশ না করা শর্তে ষষ্ঠ শ্রেণীর এক ছাত্র বলেন, ‘৫০ টাকা আদায়ের খবর আগে জানতাম না। আমি আরেক সহপাঠি থেকে হাওলাত করে শিক্ষকদেরকে ৫০ টাকা দিয়েছি। তবে কেন আদায় করা হচ্ছে-আমাদেরকে কিছুই জানায়নি। শুধু স্যাররা বলেছে-খরচের টাকা’। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির অভিভাবক সদস্য আবদুস সাত্তার বলেন, ‘বাড়তি টাকা আদায় করতে নিষেধ করেছি। এরপরও কেন টাকা আদায় করেছে, আমার জানা নেই’। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবদুর রহিম মজুমদার বলেন, ‘এটা নিয়ে আমরা তাৎক্ষণিক প্রধান শিক্ষকের সাথে কথা বলেছি। তিনি আমাদেরকে পরে বিস্তারিত জানাবেন বলেছেন’। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কাজী মমতাজুল করিম মামুন বলেন, ‘চৌদ্দগ্রাম উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে বই আনতে কিছু খরচ হয়েছে। ওই খরচের জন্য শিক্ষার্থীদের থেকে টাকা নেয়া হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়। অতীতের বছরগুলোতেও নতুন বই বিতরণকালে খরচের জন্য টাকা নেয়া হতো। তবে এবার খরচের টাকা আদায় করায় সমালোচনা হওয়ায় ফেরত দিয়েছি। কতজনকে ফেরত দিয়েছেন? এমন প্রশ্ন এড়িয়ে যান তিনি’। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা একেএম মীর হোসেন বলেন, ‘সারাদেশের ন্যায় চৌদ্দগ্রামেও বিনামূল্যে বই দেয়া হচ্ছে। বাতিসা মাধ্যমিক বালক বিদ্যালয়ে টাকার বিনিময়ে বই দেয়ার বিষয়ে আমি কিছুই জানি না। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নিবো’।

  • চৌদ্দগ্রাম