কুমিল্লায় শিশু রাশেদ হত্যায় দুই সহকর্মীর ১০ বছরের আটকাদেশ

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

Spread the love

শিশু রাশেদ হোসেনকে গলা কেটে হত্যার দায়ে সহকর্মী দুই শিশু মোঃ জাহিদুল ইসলাম ওরফে রাসেল ও মোঃ হাফিজুর রহমান ওরফে আরিফকে শিশু আইনের বিধানুসারে সর্বোচ্চ সাজা ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন কুমিল্লার আদালত। সোমবার (২২ জানুয়ারি) দুপুরবেলা কুমিল্লার বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আদালতের বিচারক মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন এ রায় দেন। দন্ডপ্রাপ্ত আসামি মোঃ জাহিদুল ইসলাম ওরফে রাসেল (অদ্য রায় প্রচারের তারিখে তার বয়স ২১ বছর ১১ মাস ২০ দিন) হলেন কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম উপজেলার মানিকপুর গ্রামের মোঃ আব্দুর রাজ্জাক এর ছেলে এবং অপর আসামি মোঃ হাফিজুর রহমান ওরফে আরিফ (অদ্য রায় প্রচারের তারিখে তার বয়স ১৯ বছর ০২ মাস ০৪ দিন) হলেন একই উপজেলার সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন বানীপুর পশ্চিম পাড়ার মোঃ খলিলুর রহমান খলিলের ছেলে। মামলার বিবরণে জানাযায় রাশেদ তার কর্মস্থল বিসিক শিল্প নগরী কুমিল্লাস্থ ফরিদ ফাইবার লিঃ ফ্যাক্টরীর টুস্টিং বিভাগে দীর্ঘ দিন যাবত শ্রমিক হিসেবে চাকুরী করিয়া আসিতেছিল। বিগত দেড় মাস যাবৎ জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলাধীন ঢাকা চট্টগ্রাম পুরাতন মহাসড়কের পাশে কমলপুরে ফরিদ গ্রæপের ফরিদ নেটস নামীয় ফ্যাক্টোরিতে নিয়মিত ডিউটি করিত। ২০১৯ সালের ২৮ এপ্রিল বেলা ১টার সময় নিহত রাশেদ ডিউটির উদ্দেশ্যে বাসা হতে বের হয়ে রাতে বাসায় ফিরে আসে নাই। সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন ৩নং গলিয়ারা ইউনিয়নের ফুলতলী মধ্যমপাড়া এলাকার জৈনক ফজলুর হকের পুকুরের পানিতে অজ্ঞাতনামা যুবকের লাশ পাওয়া যায়। এ ব্যাপারে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় নিহতের বোন মোসাঃ নীপা আক্তার বাদী হয়ে দুই সহকর্মী মোঃ আরিফ হোসেন (২১) ও আসামি মোঃ রাসেল মিয়াকে আসামি করে মামলা দায়ের করে। আসামিদের বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় দঃ বিঃ ৩০২ ধারায় দোষী মর্মে শিশু আইন ২০১৩ এর ৩৪ (১) ধারার বিধানুসারে তাদের প্রত্যেককে ১০ বছরের আটকাদেশ এবং প্রত্যেককে ১০ হাজার টাকা অর্থদ- অনাদয়ে ০৩ মাসের আটকাদেশ প্রদান করেন কুমিল্লার আদালত। রায়ে আরও উল্লেখ করেন প্রত্যেক শিশুর নিরাপদ হেফাজতে থাকার সময় তার আটকাদেশের মেয়াদ হতে কর্তন হবে। রাষ্ট্র পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন স্পেশাল পিপি এডভোকেট প্রদীপ কুমার দত্ত।

  • কুমিল্লা