কুমিল্লায় ক্লিনিক ডায়গনস্টিকের লাইসেন্স নাই ১০৭টি লাইসেন্স প্রাপ্ত ৪৬৬টি প্রতিষ্ঠান

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লা জেলায় ১০৭টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের লাইসেন্স নেই। এর মধ্যে ৮৮টি প্রতিষ্ঠানের আবেদন লাইসেন্সের জন্য প্রক্রিয়াধীন রয়েছে এবং ১৯টি প্রতিষ্ঠান একেবারে বন্ধ রয়েছে। লাইসেন্সপ্রাপ্ত মোট প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৪৬৬টি। কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এবং ১৭ উপজেলার ৫৭৩ টি বেসরকারি ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের এই হালনাগাদ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা সিভিল সার্জন নাছিমা আক্তার। তিনি জানান, লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের তালিকা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। যাদের লাইসেন্স প্রক্রিয়াধীন রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য অধিদপ্তর নির্দেশনা দিবেন- আর যাদের লাইসেন্স নাই তাদের বন্ধ করা হয়েছে। আমরা সকল প্রতিষ্ঠানকেই পর্যবেক্ষণে রাখছি- যাদের বিরুদ্ধেই নিয়মলঙ্ঘনের অভিযোগ আসবে আমরা সাথে সাথে ব্যবস্থা নিবো। আমাদের নিয়মিত অভিযান অব্যহত আছে।
জানা গেছে, পরিবেশ সনদ, নারকোটিক(মাদক) সনদ, ফায়ার লাইসেন্সসহ মোট ২১টি শর্ত পূরণের মাধ্যমে একটি বেসরকারি স্বাস্থ্য সেবা প্রতিষ্ঠানের পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স মিলে। তাছাড়া তারা কোন রোগীকে সেবা দিতে নিবন্ধিত হতে পারে না। আর এসব অনিবন্ধিত বা লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানের আড়ালেই অপচিকিৎসা ও ভুল চিকিৎসায় প্রাণহানির মতো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে সাধারণ মানুষ। ২০২৩ সালে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় কয়েকটি ক্লিনিকে ভুল চিকিৎসার দায়ে প্রাণহানির ঘটনা সারাদেশে সামালোচিত হয়। পরে সেই প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেয় স্বাস্থ্য বিভাগ।
কুমিল্লা বেসরকারি ক্লিনিক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক রইস আবদুর রব ক্ষোভ প্রকাশ করে জানান, লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে অবশ্যই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া উচিত। আমাদের আগে উচিত প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স গ্রহন- কিন্তু দুঃখের বিষয় আমরা আগেই প্রতিষ্ঠান খুলে বসি। নতুন স্বাস্থ্য মন্ত্রী কঠোর নির্দেশনা দিয়েছেন- আশা করি কুমিল্লার লাইসেন্সবিহীন প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধেও দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সিভিল সার্জন কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, সর্বশেষ পাওয়া তথ্য অনুসারে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ১৪৬টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ১৪ টি বেসরকারি ক্লিনিকও ডায়গনস্টিক প্রতিষ্ঠান রোগী সেবা প্রদানের জন্য পূর্ণাঙ্গ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারেন নি। দাউদকান্দিতে লাইসেন্স নাই ১০টির, লাকসামে লাইসেন্স নাই ৯টির, চৌদ্দগ্রামে লাইসেন্স নাই ৮টির, নাঙ্গলাকোটে লাইসেন্স নাই ৭টির, মুরাদনগরে লাইসেন্স নাই ৪টির, বরুড়ায় লাইসেন্স নাই ৫টির, বুড়িচংয়ে লাইসেন্স নাই ১টির, ব্রাহ্মণপাড়ায় লাইসেন্স নাই ৫টির, তিতাসে লাইসেন্স নাই ৯টির, মেঘনায় লাইসেন্স নাই ৮টির, মনোহরগঞ্জে লাইসেন্স নাই ৪টির, লালমাইতে লাইসেন্স নাই ৬টির, হোমনায় লাইসেন্স নাই ৫টির, চান্দিনায় লাইসেন্স নাই ৫টির এবং সদরে লাইসেন্স নাই ১টির।

  • কুমিল্লা