স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন, অসম্প্রদায়িক দেশ গড়তেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান সকল ধর্ম জাতির মানুষ সম্মিলিতভাবে স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ করবে। কিন্তু পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট নির্মমভাবে বঙ্গবন্ধুকে হত্য্যা করে এই স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করতে চেয়েছিল স্বাধীনতাবিরোধী চক্র। ১৯৯৬ সালে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে রূপরেখা তৈরি করেন। ২১ বছর পরে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পূর্বে ধর্মে ধর্মে মানুষের মধ্যে এমন সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক কখনো দেখা যায়নি। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর নির্বিঘ্নে সকল ধর্মের মানুষ তাদের আচার অনুষ্ঠান পালন করতে পেরেছে।
রবিবার (৭ জুলাই) কুমিল্লার জগন্নাথপুরে শ্রী শ্রী জগন্নাথ দেবের রথযাত্রা মহোৎসব উপলক্ষ্যে ধর্মসভা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্রের জন্ম হয়েছিলো ধর্মীয় বিভাজনের ভিত্তিতে। এই বিভাজন আমরা মানতে পারিনি বলে পরবর্তীতে অসম্প্রদায়িক চেতনাকে বুকে ধারণ করে দেশ স্বাধীন হয়েছে। বাংলাদেশে তাই কোন ধর্মীয় বৈষম্য থাকবে না।
তিনি আরও বলেন, দেশরতœ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশকে একটি অসম্প্রদায়িক রাষ্ট্র হিসেবে দেখতে চান। তিনি এমন একটি দেশের স্বপ্ন দেখেন যেখানে, আপনি হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কিংবা মুসলিম যে ধর্মেরই হন না কেন, আপনার সমান অধিকার থাকবে। শুধু ধর্মীয় উৎসব পালনে নয়, রাষ্ট্রের সকল নাগরিক অধিকার ভোগ করার ক্ষেত্রে সব ধর্মের মানুষ সমান অধিকার ভোগ করবেন। বর্তমান সরকার ২০৪১ সালে উন্নত রাষ্ট্র গঠনে যে রুপরেখা তৈরি করেছে, তা গড়তে ধর্ম বর্ণ জাতি নির্বিশেষে সকলকে সম্মিলিতভাবে কাজ করতে হবে।
শ্রী শ্রী জগন্নাথ মন্দিরের সভাপতি শ্রীমান সুদর্শন দাশ ব্রহ্মচারীর সভাপতিত্বে উক্ত ধর্মসভায় আরও উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লা-৭ সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা. প্রাণ গোপাল দত্ত, কুমিল্লা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মফিজুর রহমান বাবলু, কুমিল্লা জেলা প্রশাসক ম্যাজিস্ট্রেট খন্দকার মু. মুশফিকুর রহমান, কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মংনেথোয়াই মারমা, কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আতিক উল্লাহ খোকন, কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের ভারপ্রাপ্ত মেয়র মঞ্জুর কাদের মনি, সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এডভোকেট আমিনুল টুটুল, সদর দক্ষিণ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল হাই বাবলু, মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক চিত্তরঞ্জন ভৌমিক, স্থানীয় সরকার মন্ত্রীর উন্নয়ন সমন্বয়কারী মোঃ কামাল হোসেনসহ আরও অনেকে। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন কুমিল্লা মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অচিন্ত দাস টিটু।