টানা কয়েকদিনের বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতা দেখা দেওয়ায় যান ও মানুষের চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। অনেক সড়কে জমেছে হাঁটু পানি। গত সোমবার সকালে একটানা ৩ ঘন্টার ভারি বৃষ্টিতে জনজীবন অনেকটাই বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভাসহ বেশ কিছু সড়কে জমাট বেঁধেছে পানি। বিশেষ করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে প্রবেশের একমাত্র রাস্তাটিতে হাঁটু পানি। সেবা নিতে আসা রোগী চরম ভোগান্তিতে রোগীরা। হাসপাতালে সেবা নিতে আসা জুলেখা বলেন, আমার কাপড়-চোপড় ভিজে গেছে। এই পানি কি কারণে বাড়ছে খুঁজে বের করা দরকার। অন্য একজন বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় রোগীকে কোলে তুলে নিতে হচ্ছে। যেহেতু এইটা একটা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স, সেহেতু দ্রæত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা দরকার। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিপাতে উপজেলার বাতিসা ইউনিয়নের বাতিসা বৈদ্দেরবাজার লিংক রোড, বসন্তপুর ধোয়াবাড়ি ও বাতিসা রাস্তা, চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ড বালিকা বিদ্যালয় রাস্তাসহ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের রাস্তা দিয়ে হাঁটু পানি জমেছে। বাতিসা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ছাত্র মোঃ আবুল কাশেম বলেন, আমরা স্কুলে যাওয়া সময় পড়ে কাপড় নষ্ট হয়ে যায়, আবার কাপড় পরিবর্তন করে আসি। দ্রæত রাস্তা উঁচু করে সংস্কার জরুরি। সাইদুল ইসলাম বলেন, আমি কয়েক বছর ধরে দেখছি একটু বৃষ্টি হলে হাসপাতালের সামনে হাটু পানি জমে থাকে। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডাঃ আবু মোহাম্মদ হাসান বলেন, অতিরিক্ত বৃষ্টির কারণে ভারতীয় সীমান্তবর্তী এলাকার পাহাড়ি ঢল ও একটি কালভার্টের কাজের কারণে পানি জমে আছে, বিষয়টি পৌর মেয়রকে জানিয়েছি। চৌদ্দগ্রাম পৌরসভার মেয়র জিএম মীর হোসেন মীরু বলেন, পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়েছে। আমি খবর পেয়ে তাৎক্ষণিক পানি নিস্কাশনের জন্য লোক পাঠিয়েছি। সচেতন মহলের দাবি, দ্রæত হাসপাতালে একমাত্র রাস্তার ড্রেনের পরিস্কার করে পানি নিস্কাশনের ব্যবস্থা করা হোক।