২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
সংস্করণ:
কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় কিশোরী (১৫) কে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে মো. আবুল (২০) নামের এক তরুণকে আটক করেছে পুলিশ। তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার (১ মার্চ) সকাল সাতটার দিকে উপজেলার শশীদল ইউনিয়নের দেউষ এলাকা থেকে তাকে আটক করা হয়। একইদিন তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত মো. আবুল কুমিল্লার কোতয়ালী থানার শিমপুর গ্রামের নাবালক মিয়ার ছেলে। তিনি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের ধোপাখলা গ্রামের ওয়াসিম ড্রাইবারের বাড়িতে থেকে মাটি কাটার ট্রাক্টর চালায়। এর আগে শুক্রবার (১ মার্চ) ভোরের দিকে এ ঘটনায় ওই কিশোরীর মা বাদী হয়ে মো. আবুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে ধর্ষণের মামলা করেছেন। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই কিশোরীকে শুক্রবার সকালে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে পুলিশ। মামলার এজহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ওই কিশোরী (১৫) স্থানীয় একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নবম শ্রেণীতে পড়াশুনা করে। ওই কিশোরীর মা স্থানীয় একটি কিন্ডার গার্টেন স্কুলে শিক্ষকতা করেন। মো. আবুল ওই স্কুল ছাত্রীকে প্রায়ই স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে উত্ত্যক্ত করত। অভিযুক্ত আবুল ওই কিশোরীর বাড়ির আমান মিয়ার জায়গা ট্রাক্টর দিয়ে মাটি এনে কয়েকদিন যাবত ভরাটের কাজ করছিলেন। ঘটনার দিন তার মা স্কুলে চলে যাওয়ায় গত বৃহস্পতিবার দুপুরে ওই কিশোরী বাড়িতে একা ছিলেন। ট্রাক্টর চালক আবুল ট্রাক্টর রেখে পানি খাওয়ার ওজুহাতে ওই কিশোরীর ঘরে যায়। এ সময় ওই কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এ সময় কিশোরী চিৎকার চেঁচামেচি করতে থাকলে বাড়ির লোকজন দৌড়ে এসে কিশোরীকে উদ্ধার করে। তখন ট্রাক্টর চালক ট্রাক্টর রেখে দৌড়ে পালিয়ে যায়। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই কিশোরীর মা বলেন, আবুল তাদের বাড়ির আমান মিয়ার জায়গা ভরাটে অনেক দিন ধরেই ট্রাক্টর দিয়ে মাটি আনছে। সে প্রায়ই আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করত। ইজ্জত সম্মানের কথা চিন্তা করে আমার মেয়ে বিষয়টি কাউকে জানায়নি। ঘটনার দিন বৃহস্পতিবার আমি স্কুলে চলে যাওয়ায় বাড়িতে একা পেয়ে ট্রাক্টর চালক আবুল আমার মেয়েকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। আমি এই ধর্ষকের দৃষ্টান্তমুলক বিচার দাবী করছি। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এস.আই) শিশির ঘোষ বলেন, কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা হয়েছে। এ ঘটনার সাথে জড়িত মো. আবুলকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে শুক্রবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে একইদিন শুক্রবার সকালে কুমিল্লা জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়েছে। ধর্ষণের শিকার হওয়া ওই কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
