স্কুলছাত্রীর ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ভয় দেখিয়ে ফের ধর্ষণ

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লার দেবিদ্বারে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় মোস্তফা নামের এক যুবককে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার (১ জুলাই) দুপুরে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়। এর আগে রবিবার রাতে ফতেহাবাদ ইউনিয়নের জয়পুর গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে মোস্তফাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর বাবা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন বলে জানান অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া। অভিযুক্ত মোস্তফা (৩৫) জয়পুর গ্রামের মৃত আবদুল আওয়ালের মিয়ার ছেলে এবং মোস্তফা বিকাশ ও মোবাইল ফ্লেক্সিলোড দোকানি। মামলার এজহার ও থানা সূত্রে জানা গেছে, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মোস্তফার মোবাইল ফ্লেক্সিলোড দোকানে প্রায়ই আসা-যাওয়া করত। আসা-যাওয়ার এক পর্যায়ে দুইজনের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে মোস্তফা। ধর্ষণের সময় মোবাইলে একটি ভিডিও ধারণ করে রাখে মোস্তফা। পরবর্তীতে মোবাইলে ধারণ করা ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয়ভীতি দেখিয়ে প্রায়ই ওই স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করত। পরে এ ঘটনা ওই ছাত্রী তার বাবা মাকে জানালে তার বাবা দেবিদ্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। জয়পুর গ্রামের একাধিক স্থানীয় বাসিন্দা বলেন, গ্রামে মোস্তফার বিকাশ ও মোবাইল ফ্লেক্সিলোড দোকান থাকায় বিভিন্ন নম্বর সংগ্রহ করে ৫/৬ জন মেয়েকে প্রেমের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করেছে। লোক লজ্জায় ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। এ বিষয়ে এলাকায় একাধিক সালিশ মিমাংসা হয়েছে। সর্বশেষ সনাতন ধর্মের এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করে এবং ওই ভিডিও ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে গত সাত আট মাস ধরে তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করেছে। ভুক্তভোগীর ওই ছাত্রীর বাবা বলেন, স্কুলে আসা-যাওয়ার পথে মোস্তফা আমার মেয়েকে প্রায়ই উত্ত্যক্ত করত। আমার মেয়ে প্রেমের প্রস্তাবে রাজী না হলে জোরপূর্বক অপহরণ করে একটি ভবনে নিয়ে ধর্ষণ করে। আমি এ ঘটনায় বাদি হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেছি। দেবিদ্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. নয়ন মিয়া বলেন, ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীর বাবার লিখিত অভিযোগের পর পর অভিযুক্ত মোস্তফাকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। মোস্তফাকে আসামী করে থানায় একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে সোমবার দুপুরে কুমিল্লা জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। ওই ছাত্রীর মেডিকেল পরীক্ষার প্রস্তুতি চলছে।

  • কুমিল্লা