শশীদল রেলওয়ে ফুটওভার ব্রিজ মাদকসেবীদের নিরাপদ স্থান

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৮ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লা জেলার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার শশীদল রেলওয়ে স্টেশনের ফুটওভার ব্রিজের উপর মাদকসেবীদের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। রেলওয়ে স্টেশনটি যেন মাদকসেবীদের অভয়াশ্রমে পরিণত হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশের নিয়মিত তদারকি না থাকায় মাদকসেবীরা নিরাপদে মাদক সেবন করতে পারছে। মাদকসেবীদের ভয়ে সাধারণ যাত্রীরা আতংকে থাকে। স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারাও তাদেরকে কিছু বলতে সাহস পায় না। ফলে দিন দিন শশীদল রেলওয়ে স্টেশন মাদকসেবীদের আখড়ায় হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ফুটওভার ব্রিজের উপরে ৭/৮ জন ছেলে দিনে দুপুরে প্রকাশ্য দিবালোকে মাদক সেবন করছে। প্রত্যেকের হাতেই মাদক দ্রব্য রয়েছে। তারা মনের সুখেই মাদক সেবন করছে এবং রাজার ভাব নিয়ে আছে। যেন সাধারণ যাত্রীরা তাদের প্রজা। যখন যাকে ইচ্ছে চোখ রাঙিয়ে হুমকি ধমকি দিচ্ছে। শশীদল রেলওয়ে স্টেশনটিকে মাদকসেবীরা নিজেদের রাজত্ব হিসেবে ব্যবহার করছে। এখানে তাদের উপর কথা বলার ক্ষমতা কারো নেই। একটি বড় মাদক ব্যবসায়ীর চক্র স্টেশনটিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছে। স্থানীয় লোকজন ও সাধারণ যাত্রীরা এবং স্টেশনের দায়িত্বপ্রাপ্তরা দেখেও না দেখার ভান করে চলে যায়। স্থানীয় কয়েকজনের সাথে কথা বলে জানা যায়, শুধু হেরা না এখানে প্রতিদিনই দূর দূরান্ত থেকে অনেকেই এসে মাদকসেবন করে। তারা এ জায়গাটাকে নিরাপদ মনে করে। কারণ এখানে কোন পুলিশ নাই। আনসার সদস্যরা রাতে আসে দিনের বেলা থাকে না। স্টেশন মাস্টার সহ অন্যান্যরা ভয়ে তাদেরকে কিছু বলার সাহস পায় না। পথচারীও নাই, কয়েকজন পথচারী দেখা যায় তারাও দূর থেকে এখানে ঘুরতে আসে। তাদের সাথেও তারা খারাপ আচরণ করে। অনেক সময় তাদের টাকা পয়সা মোবাইল ফোন সব কিছু ছিনিয়ে নেয়। ভারত সীমান্তের পার্শ্ববর্তী হওয়ার কারণে এ ঘটনা গুলো প্রতিনিয়ত ঘটে। শশীদল রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার আনোয়ারুল করিমের সাথে এ বিষয়ে কথা বললে তিনি বলেন, বিষয়টা সত্যিই খুব দুঃখজনক। আমি এখানে আসছি ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসে। আসার পরে দেখেছি এ সমস্ত ঘটনার বিরুদ্ধে চেয়ারম্যান এবং প্রশাসন ব্যবস্থা নিয়েছে। এখন পুরো স্টেশন সিসি ক্যামেরার আওতায় আছে। সিসি ক্যামেরা দেওয়ার আগে রেলওয়ে পুলিশ মাঝে মধ্যে টহল দিতো। সিসি ক্যামেরা দেওয়ার পরে আর পুলিশ আসে না। আনসার সদস্য আছে তারা রাতে আসে। আর আমরা কিছু বলতে গেলে তারা আমাদের উপরে হামলা করবে। আমি বিষয়টা কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করবো। এবিষয়ে কুমিল্লা রেলওয়ে থানার আইসি মো. মোস্তফা কামাল বলেন, আসলে শশীদল কুমিল্লা থেকে অনেক দূরে তাই প্রতিদিন আসা যাওয়া করা সম্ভব না। আমি স্থানীয় প্রতিনিধি এবং ব্রাহ্মণপাড়া থানার পুলিশ প্রশাসনের সাথে কথা বলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবো।

  • ব্রাহ্মণপাড়া