ব্রাহ্মণপাড়ায় মোসা: শান্তা আক্তার (২৭) নামের এক গৃহবধূ বসতঘরের তীরের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যার করেছে। গত মঙ্গলবার দুপুরে উপজেলার সাহেবাবাদ ইউনিয়নের জিরুইন দক্ষিণপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ওই গৃহবধূর স্বজনদের পক্ষ থেকে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহত শান্তা আক্তার ওই গ্রামের মৃত ফুল মিয়ার ছেলে মো. লিটন মিয়ার স্ত্রী ও একই উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের দর্পনারায়ণপুর গ্রামের মো. শফিকুল ইসলামের মেয়ে। দাম্পত্যজীবনে শান্তা একটি কন্যা ও একটি ছেলে সন্তানের জননী। নিহতের বাবা শফিকুল ইসলাম জানান, গত ৬ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে শান্তা ও লিটনের বিয়ে হয়। বিয়ের দুই বছর পর থেকে তাদের মধ্যে দাম্পত্যকলহ শুরু হয়। এনিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে একাধিকবার শালিস বৈঠক হয়। ঘটনার দিন দুপুর আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় শান্তার এক চাচা শ্বশুর আমাদের মোবাইল ফোনে জানায় শান্তা গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মাহত্যা করছে। খবর পেয়ে আমরা শান্তার শ্বশুর বাড়িতে এসে দেখি পুলিশ শান্তার লাশ থানায় নিয়ে যাচ্ছে। গৃহবধূর শ্বশুর বাড়ির লোকজন জানায়, শান্তার স্বামী প্রতিদিনের মতো ঘটনার দিন সকালে ব্যবসায়ীক কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে যান। শ্বাশুড়িও ওইদিন সকালে এক আত্মীয়র বাড়িতে গেছেন। গৃহবধূ শান্তা ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিলেন না। এ অবস্থায় শান্তা আনুমানিক দুপুর ১২ টায় তার বসত ঘরের তীরের সাথে ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেয়ে স্বজনদের জানান। পরে স্বজনরা এসে গৃহবধূ শান্তর ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান এবং তারা থানা পুলিশকে বিষয়টি অবগত করেন। ব্রাহ্মণপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আনিসুর রহমান বলেন, খবর পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে গৃহবধূ শান্তা আক্তারের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরির সময় তার শরীরে কোন আঘাতের চিহ্ন পাওয়া যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে এটি আত্মহত্যা। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ দেলোয়ার হোসেন বলেন, নিহত গৃহবধূর মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন হাতে পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে। এবিষয়ে নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা দায়ের করা হয়েছে।