ব্রাহ্মণপাড়ায় বাড়ছে মৌসুমি রোগের প্রাদুর্ভাব

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

Spread the love

অগ্রহায়নের মাঝামাঝি সময় প্রকৃতিতে শুরু হয়েছে শীতের আগমনী বার্তা। রাতের দিকে কিছুটা শীত শীত ভাব থাকলেও দিনে লাগছে গরম। শুষ্ক বাতাসে বাড়ছে ধুলিকণা ও দূষণ, কমছে আর্দ্রতা। আবহাওয়ার এ পরিবর্তনে জনজীবনে বিরূপ প্রভাব পড়তে শুরু করেছে। শীতের শুরুতেই সব বয়সী মানুষ আক্রান্ত হচ্ছে ঠান্ডাজনিত সর্দি, কাশি ও জ্বরে। তবে শিশু ও বৃদ্ধদের ক্ষেত্রে এ রোগের প্রবণতা দেখা দেয় বেশি, আর ঝুঁকিও রয়েছে তাদের। বিশেষ করে শিশু ও বয়স্করা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হয়ে যাচ্ছেন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে। কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও একাধিক বেসরকারি হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসক ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে। চিকিৎসকরা বলছেন, গত কয়েক দিনে শিশু ওয়ার্ডে রোগীর চাপ বেশ বেড়েছে। ঋতু পরিবর্তনজনিত কারণে মৌসুমি জ্বরসহ এ সময় শিশু ও বয়স্কদের নিউমোনিয়া, ব্রংকিওলাইটিস, সাইনোসাইটিস, টনসিলাইটিস, অ্যাজমা, অ্যালার্জিজনিত সমস্যা দেখা দেওয়ায় তারা হাপাতালে ভর্তি হচ্ছে। এরকম সময়ে শিশু ও বয়স্কদের সুস্থ রাখার জন্য ধুলোবালি ও ঠান্ডা পরিবেশ থেকে দূরে রাখার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হাসনাত মোঃ মহিউদ্দিন মুবিন বলেন, “এখনও পুরোপুরি শীত নামেনি। তবে সকাল-সন্ধ্যা শীতল আবহাওয়ার কারণে শিশু ও বৃদ্ধরা শীত জনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে। শিশুদের ক্ষেত্রে এ সময়ে সাবধানতা খুব বেশি প্রয়োজন। কারণ রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কম থাকায় অল্পেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারে শিশুরা। এ জন্য ধুলাবালিযুক্ত জায়গায় যাওয়া যাবে না। কাপড়গুলো আরামদায়ক হতে হবে। ঠান্ডা যেন না লাগে সেদিকে নজর রাখতে হবে। একই সঙ্গে গরমে যেন শিশু ঘেমে না যায়। পুষ্টিকর খাবার বেশি করে খাওয়াতে হবে। এর সঙ্গে পানি খাওয়াতে হবে। যারা বুকের দুধ খায় তাদের বুকের দুধ খাওয়াতে হবে।

  • ব্রাহ্মণপাড়া