বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার উন্নয়নে জনগণের পাশে থেকে কাজ করে যাব ইনশাআল্লাহ—সাজ্জাদ হোসেন

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১০ মাস আগে

Spread the love

সময় যতই অতিবাহিত হচ্ছে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণা ক্রমেই বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুমিল্লা-৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) নির্বাচনী এলাকাটি সরকারী দল ও বিরোধী দলের নিকট অতি গুরুত্বপূর্ণ একটি আসন। এই আসনে বিভিন্ন দল থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশিরা বিভিন্ন ভাবে তাদের প্রার্থীতা জনগণের নিকট তুলে ধরার চেষ্টা করছেন। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা কর্মীদের মধ্যে চাঙ্গা ভাবের আর্বিভাব দেখা দিয়েছে। তবে বিরোধী জোট তথা ২০ দলীয় জোটের নেতা কর্মীরা ১ দফা দাবী নিয়ে রাজপথে আন্দোলনে ব্যস্ত থাকলেও সরকার দলীয় নেতা কর্মীদের চোখে ঘুম নেই। তারা প্রতিনিয়তই বিভিন্ন সভা সমাবেশ ও গণসংযোগের মাধ্যমে জনগণের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। তাছাড়া মনোনয়ন প্রত্যাশিরা জনগণের নিকট দোয়া চাচ্ছেন এবং গণসংযোগ করছেন। অপর দিকে দলীয় হাই কমান্ডের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করছেন দলীয় মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য। তার মধ্যে সাবেক বুড়িচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা আওয়ামীলীগের যুগ্মসাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ হোসেন বিভিন্ন সময়ে তার অনুগত দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে নির্বাচনী মাঠে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করে যাচ্ছেন। বিরোধী জোটের অবরোধ চলাকালে দলীয় নেতা কর্মীদের নিয়ে শান্তি মিছিল ও সমাবেশ করছেন। ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের নিমসারে অবরোধ বিরোধী সমাবেশ করে ব্যাপক সাড়া জাগিয়েছেন। তিনি প্রতিদিনই সামাজিক, রাজনৈতিক অথবা কোন না কোন ধর্মীয় প্রোগ্রামে উপস্থিত থেকে সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডের চিত্র জনগণের সামনে তুলে ধরে আবারোও নৌকা মার্কার সরকারকে ক্ষমতায় আনার জন্য প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সামাজিক ও রাজনৈতিক কার্যক্রমের সাথে সম্পৃক্ত থেকে সমান তালে কাজ করে যাচ্ছেন। দলীয় মনোনয়ন পাওয়ার জন্য বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার প্রতিটি গ্রামে সাধারণ জনগনের সাথে যোগযোগ রক্ষা করে যাচ্ছেন। কুমিল্লা-৫(বুড়িচং-বাহ্মণপাড়া) সংসদীয় আসনের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী সাজ্জাদ হোসেন এর পরিচিতি তোলে ধরা হল- সাজ্জাদ হোসেন ৩১ জুলাই ১৯৬৬ইং সনে বুড়িচং উপজেলার বাকশীমুল গ্রামে জন্ম গ্রহন করেন। ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বাকশীমুল ইউনিয়ন শাখার সদস্য পদ লাভ করেন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কুমিল্লা সরকারী কলেজ শাখার সদস্য পদ লাভ করেন।১৯৮৬ সালে কুমিল্লা সরকারি কলেজ ছাত্র/ছাত্রী সংসদে ভিপি পদে নির্বাচনে দলীয় মনোনয়নে অংশগ্রহন করেন। তৎকালিন জাতীয় পার্টির জাতীয় ছাত্র সমাজের কারণে নির্বাচন স্থগিত হয় এবং তাকে গুরুতরভাবে আহত করে। ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের বুড়িচং উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন।১৯৮৭ সালে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কুমিল্লা জেলা শাখার সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯০ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের বুড়িচং উপজেলা শাখার সভাপতি নির্বাচিত হন। ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কুমিল্লা জেলা শাখার আহবায়ক কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কুমিল্লা জেলা শাখা (অধ্যাপক মোঃ খোরশেদ আলম সভাপতি অধ্যক্ষ আফজল খান সাধারণ সম্পাদক) প্যানেলের সদস্য হয়। ১৯৯৭ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কুমিল্লা জেলা শাখার সহ-সভাপতি হন।২০০৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের বুড়িচং উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০০৫ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুমিল্লা জেলা শাখার ( আহবায়ক আহম মোস্তফা কামাল (লোটাস কামাল) যুগ্ম আহবায়ক মুুজিবুল হক-মুজিব) প্যানেলের আহবায়ক কমিটির সদস্য হন। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুমিল্লা দক্ষিন জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। ২০২৩ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা শাখার সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হন। সামাজিক তথ্যাদির মধ্যে রয়েছে- ১৯৯২ সালে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির কুমিল্লা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন। ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে কুমিল্লা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান সমিতির সাধারন সম্পাদক নির্বাচিত হন। ২০১২ সালে প্রাথমিক শিক্ষায় শতভাগ পাশ করায় চট্টগ্রাম বিভাগে বুড়িচং উপজেলা শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাচিত হওয়ায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে সনদ ও সম্মাননা পুরষ্কার গ্রহন করেন। কুমিল্লা জেলা বঙ্গবন্ধু কৃষিবিদ ডিপ্লোমা পরিষদের উপদেষ্টা নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ ইউনিয়ন পরিষদ সচিব সমিতির কুমিল্লা জেলা শাখার উপদেষ্টা নির্বাচিত হন। বাংলাদেশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির কুমিল্লা জেলা শাখার উপদেষ্টা নির্বাচিত হন। ১৯৯২ সালে বাকশীমূল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে একই ইউনিয়নের পুনরায় চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। জেলার শ্রেষ্ঠ চেয়ারম্যান হিসেবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশলী অধিদপ্তর কর্তৃক স্বর্ণপদক প্রাপ্ত হন। ২০০২ সালে বারভিডা পরিচালনা পর্ষদ সদস্য নির্বাচিত হন।২০০৪ বারভিডা পরিচালনা পর্ষদ সদস্য পুনরায় নির্বাচিত হন। ২০০৯ সালে বুড়িচং উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। সামাজিক কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে- কালিকাপুর আবদুল মতিন খসরু সরকারি ডিগ্রি কলেজ এর সাবেক সভাপতি ও প্রতিষ্ঠাতা। আবিদপুর স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিং বডির সাবেক সভাপতি, নিমসার জুনাব আলী ডিগ্রি কলেজের বিদ্যুৎসাহী সদস্য, নিমসার তাহেরা জুনাব আলী বালিকা বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সাবেক সভাপতি, বুড়িচং এরশাদ ডিগ্রি কলেজের গভনিং বডির স্থায়ী দাতা সদস্য, ময়নামতি স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিং বডির স্থায়ী দাতা সদস্য ও সাবেক সভাপতি, গাউসুল আযম আব্দুল কাদের জিলানী (রঃ) আলিম মাদরাসার গভর্ণিং বডির সাবেক সভাপতি, বায়তুসসালাম জামে মসজিদ, ঝাউতলা কুমিল্লার সভাপতি, বুড়িচং উপজেলা কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সাবেক সভাপতি, বুড়িচং উপজেলা মাদরাসা শিক্ষাবৃত্তি প্রকল্পের প্রতিষ্ঠাতা, ফকির বাজার স্কুল এন্ড কলেজের গভর্ণিং বডির সাবেক সভাপতি, বাকশীমূল সুন্নি ইসলামিয়া সিনিয়র মাদরাসার গভর্ণিং বডির সাবেক সভাপতি। সাজ্জাদ হোসেন বলেন, বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়ার জনগণ ও এলাকার উন্নয়নে আমি নিরলস ভাবে কাজ করে যাবো। নৌকার সাথে পূর্বেও ছিলাম আগামীতেও থাকবো। নৌকার বিজয় ছিনিয়ে আনতে সর্বাত্মক ভাবে কাজ করে যাবো। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে জনগণের ভোটের মাধ্যমে জয়লাভ করে এই আসনটি উপহার দিবো ইনশাআল্লাহ।

  • বুড়িচং