বুড়িচংয়ে প্রতিমা বিসর্জনের সময় সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল সুলতানপুর (৬০ বিজিবি)

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে

Spread the love

১৩ অক্টোবর, রবিবার সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) এর দায়িত্বপূর্ণ এলাকার ব্রাহ্মণবাড়িয়া ও কুমিল্লা জেলার সীমান্তের ০৮ কিঃ মিঃ এর মধ্যে অবস্থিত ২৮টি পূজা মন্ডপে বিজিবির কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে বাদ্য বাজিয়ে প্রতিমা বিসর্জনের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে দেবী দূর্গাকে বিদায় জানায় সনাতন ধর্মালম্বীরা। দেবী দূর্গা প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো শারদীয় দূর্গা পূজা-২০২৪। এ সময় কুমিল্লা জেলার বুড়িচং উপজেলাধীন শংকুচাইল এর স্বর্গীয় ভারত চন্দ্র রায়ের বাড়ি পূজা মন্ডপ এর প্রতিমা বিসর্জনের সময় উপস্থিত ছিলেন , লেঃ কর্নেল এ এম জাবের বিন জব্বার, পিএসসি, এসি, অধিনায়ক, সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি)।
এ সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নোত্তরে সংশ্লিষ্ট পুজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সতীস রায় বলেন, গত ০৩ অক্টোবর হতে পূজা মন্ডপের সার্বিক নিরাপত্তা দিতে বিজিবির টহল দল নিয়মিত রেকি ও পরিদর্শন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার প্রেক্ষিতে পুজা মন্ডপগুলিতে কোন প্রকার হুমকী ও নিরাপত্তা বিঘ্নিত হয়নি । সকল সনাতন ধর্মালম্বীরা এবারের পূজায় বিগত বছরের তুলনায় স্বতঃস্ফুর্তভাবে অংশগ্রহণ ও সম্পন্ন করতে পেরে বিজিবির প্রতি শতভাগ আস্থা অর্জন করেছে। এছাড়া বর্তমান অন্তর্বতীকালীন সরকার তথা বিজিবি মহাপরিচালকের নির্দেশনায় সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার, কুমিল্লা সেক্টর কমান্ডার ও ৬০ বিজিবির অধিনায়ক এর ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় বিজিবি সদস্য মোতায়েনের মাধ্যমে পুজার সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়েছে এবং সর্বদাই আমাদেরকে সাহস ও অনুপ্রেরণা যুগিয়েছেন । প্রতিটি পুজা মন্ডপে দৃশ্যমানভাবে মোবাইল নম্বর সম্বলিত বোর্ড প্রদর্শন, কিছু কিছু মন্ডপে বিজিবির ব্যবস্থাপনায় সিসি টিভি স্থাপন ও বিজিবি সদস্যদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা অব্যাহত থাকার কারণে যে কোন উদ্ভূত পরিস্থিতি রোধ করতে সর্বোচ্চ সতর্ক অবস্থানে ছিল ৬০ বিজিবি। যা বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথম বিজিবি অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন। যার ফলে কার্যক্রমে সকল হিন্দু ধর্মালম্বীরা স্বস্তি প্রকাশ করেছে। এবারে পুজায় বিজিবির ভূমিকা ছিল খুবই আন্তরিক ও সত্যিই প্রশংসনীয়। এছাড়া, বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত রক্ষা, চোরাচালান দমন ও নারী ও শিশু পাচার রোধের পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা কর্তব্য পালনেও তাদের ভুমিকা জনগনের কাছে আস্থা অর্জনে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। সর্বোপরি পুজার সার্বিক নিরাপত্তা বজায় রাখার ক্ষেত্রে বিজিবি সক্রিয় ভূমিকার কারণে সকল হিন্দু ধর্মালম্বীরা আনন্দিত এবং বিজিবির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আরেক প্রশ্নোত্তরে অধিনায়ক, সুলতানপুর ব্যাটালিয়ন (৬০ বিজিবি) বলেন, বিজিবির কঠোর নিরাপত্তায় শারদীয় দূর্গা পূজা সকলেই একত্রে আনন্দ ও উৎসব মুখর পরিবেশে উদযাপন করতে পেরে সকলকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন জানাই। সনাতন ধর্মালম্বীদের পুজা অর্চনা সুন্দর ও নিরবিচ্ছিন্নভাবে সম্পন্নের ব্যাপারে বিজিবি কর্তৃক সর্বাত্নক সহযোগিতা এবং সার্বিক নিরাপত্তা প্রদান করার প্রেক্ষিতে কোন ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে স্থানীয় হিন্দু সম্প্রদায়ের সাধারণ জনগণকে অবহিত করেন। এভাবে সকলের সহযোগীতামূলক মনোভাব নিয়ে কাজ করার কারণে নির্বিঘ্নে পূজা মন্ডপের নিরাপত্তা প্রদান করা সম্ভব হয়েছে বলে তিনি উপস্থিত সকলকে জানান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন, ৬০ বিজিবির ভারপ্রাপ্ত কোয়ার্টার মাষ্টার সহকারী পরিচালক মোঃ মতিউর রহমান, পূজা মন্ডপের নিরাপত্তায় নিয়োজিত প্লাটুন কমান্ডার, সংশ্লিষ্ট পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি সতীশ রায় ও পূজা উদযাপন কমিটির বিভিন্ন স্তরের সদস্যগণ এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিক, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এবং স্থানীয় বিভিন্ন শ্রেণী পেশার জনসাধারণ। এবছর বুড়িচং উপজেলায় ৩৭ টি পূজা মণ্ডপে দূর্গা পূজা উদযাপন করা হয়।

  • বুড়িচং