“কুমিল্লা-বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া-মীরপুর সড়ক” পরিকল্পিত ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টিতেই জলাবদ্ধতা

লেখক: স্টাফ রিপোটার
প্রকাশ: ৬ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লা-বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া মীরপুর এম এ গণি সড়কের পাশে অপরিকল্পিত ভাবে বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণ করা এবং পানি নিঃষ্কাশনের জন্য ড্রেন না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই বিভিন্ন স্থানে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এতে সড়কের পিচগুলো উঠে গিয়ে খানা খন্দকের সৃষ্টি হয়। ফলে জনদূর্ভোগের অন্ত থাকে না। সড়কের মধ্যে ছোট বড় গর্ত থাকায় এবং খানা খন্দকের কারনে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। দুই উপজেলার বেশিরভাগ মানুষ জেলা শহরের সাথে যোগাযোগের জন্য এই সড়কটি ব্যবহার করে থাকে। তাই সড়কটি সব সময়ই ব্যস্ত থাকে। সড়কের পাশে নতুন স্থাপনা নির্মাণ করতে গিয়ে মাটি ভরাট করে। এতে বৃষ্টির পানি নিঃষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় সড়কের মধ্যেই পানি জমাটবদ্ধ হয়। গাড়ী চলাচল করার ফলে পানির মধ্যে থাকা সড়কের পিচগুলো গাড়ীর চাকার ঘর্ষণে উঠে যাওয়ায় ছোট বড় গর্ত হয়। সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীলদের তদারকি না থাকায় ছোট ছোট গর্তগুলো বড় বড় গর্তে পরিনত হয়। যার ফলে প্রতিনিয়তই দূর্ঘটনা ঘটে। বিশেষ করে ভরাসার বাজারের পূর্বপাশে সোনার বাংলা কলেজের পশ্চিম পাশের এলাকায় সড়কটির দুই পাশে স্থাপনা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠায় বৃষ্টির পানি নিঃষ্কাশনের ব্যবস্থা না থাকায় সামান্য বৃষ্টি হলেই জলাশয়ে রূপ নেয়। এতে করে মোটরচালিত অটোরিক্সা ও সিএনজি চালিত অটোরিক্সা দূর্ঘটনার কবলে পতিত হয়। জলাবদ্ধতা ও কর্দমাক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়, যার ফলে সাধারন মানুষের চলাচলে বেশ ভোগান্তি পোহাতে হয়। বুড়িচং সদর বাজারের আনন্দ পাইলট সরকারী উচ্চ বিদ্যালয় গেইট এলাকায় এবং ফারজানা স্যানেটারী ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান এলাকাটি এমনিতে মোড় থাকায় ঝুঁকিপূর্ণ তার সাথে রয়েছে জলাবদ্ধতা ও খানা খন্দক। এখানে প্রায় সময় ছোট ছোট গাড়ীগুলো উল্টে যায়। ব্রাহ্মনপাড়া উপজেলার ভিশন হসপিটাল ও কবরস্থান এলাকাটি জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়ে ভয়াবহতা রূপধারণ করার পর বর্তমান এমপি আবু জাহের নিউ উদ্যোগে সড়কের এই জায়গাটি মেরামত করে দেন। সিএনজি চালিত অটোরিক্সা চালক মোঃ কাউছার বলেন, সড়কের মধ্যে জলাবদ্ধতা থাকায় আমরা গাড়ী চালাতে অনেক কষ্ট হয়। পানির নিচের গর্তগুলো দেখা যায় না। তাই গাড়ীর চাকা গর্তের মধ্যে দূর্ঘটনা ঘটে এবং গাড়ীর অনেক মালামাল নষ্ট হয়ে যায়। কালাম নামের এক যাত্রী বলেন, সড়কের দুই পাশে যদি পানি নিঃষ্কাশনের জন্য ড্রেনের ব্যবস্থা থাকতো তাহলে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হতো না। তাই যারা সড়কের পাশে ঘর-বাড়ী, দোকান-পাট নির্মাণ করে তাদের উচিত ড্রেনের ব্যবস্থা রেখেই ঘর-বাড়ী, দোকান-পাট নির্মাণ করা। তাছাড়া বহুতল ভবন তৈরী করার জন্য নকশা অনুমোদন করতে হয়। নকশা অনুমোদন করার সময় সংশ্লিষ্ট দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যদি পানি নিঃষ্কাশনের সঠিক ব্যবস্থা আছে কি না; তা দেখে নকশা অনুমোদন করতো তাহলে আমাদেরকে এতো ভোগান্তির শিকার হতে হতো না। এ বিষয়ে বুড়িচং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোসাঃ সাহিদা আক্তার বলেন, প্রত্যেক উপজেলাতে বিল্ডিংয়ের নকশা অনুমোদনের জন্য একটি কমিটি রয়েছে। সেই কমিটির আহবায়ক হলো উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবং সদস্য সচিব হলো উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা। নকশা অনুমোদনের বিষয়টি তারাই ভালো বলতে পারবে। ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, রোড’স এন্ড হাইওয়ে লোকজন ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের দক্ষিণ পাশে কবরস্থান সংলগ্ন এলাকার সড়কের আপতকালীন মেরামতের কাজ করছেন। ড্রেনের মাধ্যমে পানি নিঃষ্কাশনের জন্য ২ কোটি ৭০ লক্ষ টাকার একটি প্রকল্পের প্রস্তাবনা করা হয়েছে বলে রোড’স এন্ড হাইওয়ের এক্সিকিউটিভ চিফ ইঞ্জিনিয়ার আমাকে জানিয়েছে। এক্সিকিউটিভ চিফ ইঞ্জিনিয়ার কার্যালয়ে থেকে প্রস্তাবনাটি পাস হলে ড্রেনসহ কাজ করা হবে।

  • বুড়িচং
  • ব্রাহ্মণপাড়া