ডাকাতির টাকা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে কুমিল্লায় আওয়ামীলীগ নেতা মোস্তফা কামালকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার (৩১ ডিসেম্বর) পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান। মোস্তফা কামাল জেলার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। গত ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটে। গ্রেফতাররা হলেন, তিতাস উপজেলার খোশকান্দি গ্রামের মো. নাজিম উদ্দিন, রুমন ব্যাপারী ওরপে সুমন। পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান বলেন, হত্যাকান্ডের শিকার মোস্তফা কামাল ও আসামি সাইদুল, নাজিম উদ্দিন ও মো. মাইন উদ্দিন একই গ্রামের বাসিন্দা। তারা সবাই আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। কিছুদিন আগে ডাকাতির টাকা-পয়সা ভাগাভাগিকে কেন্দ্র করে মোস্তফা কামালের সঙ্গে সাইদুল, নাজিম ও মাইন উদ্দিনের কথা বাগবিতন্ডা হয়। এর জেরে সাইদুল, নাজিম ও মাইন উদ্দিন ভিকটিম মোস্তফা কামালের ওপর ক্ষুব্ধ ছিলেন। ১৮ ডিসেম্বর দুপুরে নারান্দিয়া ইউনিয়নের নয়াচর গ্রামে একটি চায়ের দোকানের সামনে তাস খেলছিল তারা। ওই সময় আসামি সাইদুল ও নাজিম উদ্দিন মোস্তফা কামালকে ঘাড়ে, মাথায় ও কপালে ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। পরে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী রুজিনা আক্তার তিতাস থানার মামলা দায়ের করেন। গত ৩০ ডিসেম্বর হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত মো. নাজিম উদ্দিনকে ও পরে রুমনকে পুলিশ গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা উক্ত হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন। গ্রেফতারদের নামে বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতি ও ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণের মামলা রয়েছে। এ ছাড়াও নিহত মোস্তফা কামালের নামে সাতটি চুরি-ডাকাতি এবং ডাকাতির প্রস্তুতি গ্রহণের ছয়টি মামলা রয়েছে।