কুমিল্লায় টনসিল অপারেশন করাতে গিয়ে কিশোরীর মৃত্যু

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

Spread the love

টনসিল অপারেশন করাতে গিয়ে মীম আক্তার (১৫) নামের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। রবিবার (২৩ জুন) রাতে কুমিল্লা নগরীর হেলথ এন্ড ডক্টরস জেনারেল হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ভুল চিকিৎসায় ওই কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন স্বজনরা। নিহত মীম আক্তার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের অলুয়া কৃষ্ণপুর এলাকার মো. বিল্লাল হোসেনের মেয়ে সে কংসনগর উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণির শিক্ষার্থী ছিলেন। নিহতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, সপ্তাহ দুয়েক আগে টনসিলের সমস্যা নিয়ে মীম তার মা-বাবাকে নিয়ে কুমিল্লা নগরীর ঝাউতলা এলাকার ফেইথ মেডিকেল সার্ভিসেস এন্ড ফিজিওথেরাপি সেন্টারে চিকিৎসা নিতে যান। এ সময় তারা ওই সেন্টারের নাক, কান, গলা বিশেষজ্ঞ ও সার্জন ডা. জহিরুল হকের শরণাপন্ন হন। তারপর ওই চিকিৎসক মীমকে কিছু টেস্ট দেন। পরে মীমের করানো টেস্ট রিপোর্ট দেখে ওই চিকিৎসক মীমের টনসিল অপারেশন করাতে পরামর্শ দেন। পরে গত ২৩ জুন রবিবার সন্ধ্যায় মীম আক্তার তার মা-বাবাকে নিয়ে টনসিল অপারেশন করাতে ওই চিকিৎসকের অধীনে কুমিল্লা নগরীর হেলথ এন্ড ডক্টরস জেনারেল হাসপাতালে যান। সেখানে অপারেশন থিয়েটারে মীমকে এনেস্থিসিয়া দেওয়া হয়। এর পর থেকে মীমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। এ সময় ওই চিকিৎসক ডা. জহিরুল হক অপারেশন থিয়েটার থেকে বের হয়ে মীমের স্বজনদের জানান, মীম হার্ট অ্যাটাক করেছে। তাকে কুমিল্লা সদর হাসপাতালে নিতে হবে। পরে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পথে মীম মারা যান। নিহতের মা লিপি আক্তার বলেন, আমার মেয়ে সুস্থ স্বাভাবিক ছিল। গলায় ছোট একটা টনসিল হয়েছে। অপারেশন থিয়েটারে ঢুকিয়ে ১০ মিনিটের মধ্যে জহির ডাক্তার বের হয়ে বলে আমার মেয়ে হার্ট অ্যাটাক করেছে। তারপর তারাই আমার মেয়েকে সদর হাসপাতালে নিয়ে গেছে। এর আগে পথে আমার মেয়ে মারা গেছে। আমি এর সুষ্ঠু বিচার চাই। নিহতের বাবা বিল্লাল হোসেন বলেন, আমার মেয়ে মারা যাওয়ার পর জহির ডাক্তার আমাকে অপারেশনের টাকা ফেরত দিতে চায়। আমাকে বলছে আমরা যত টাকা চাই সে দিতে রাজি আছে। আমরা টাকা নিইনি। টাকা দিয়ে তারা আমার মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে। আমরা রাজি না হওয়ায় জহির ডাক্তার আমার মেয়ের পরিক্ষার রিপোর্টসহ যাবতীয় কাগজ নিয়ে হাসপাতাল তালা দিয়ে পালিয়ে গেছে। আমরা এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার চাই। এ বিষয়ে ডা. জহিরুল হকের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তার মোবাইল বন্ধ পাওয়া যায়। এ বিষয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি এস এম আতিক উল্লাহ বলেন, আমি মালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যানের মাধ্যমে বিষয়টি শুনতে পেয়েছি। যেহেতু ঘটনা কুমিল্লায় ঘটেছে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানার পুলিশ এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

  • ব্রাহ্মণপাড়া