কুমিল্লার মনোহরপুর এলাকার দু’টি মেস থেকে ছাত্রদের অচেতন করে মোবাইল, ল্যাপটপ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার এক প্রতারক ও চোরকে আটক করেছে পুলিশ । তার নাম রিপন মৃধা, বাড়ি গোপালগঞ্জ জেলার লাটেঙ্গা।কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, রিপন মৃধা-র কাজই এমন ফাঁদ পেতে চুরি করা। তার বিরুদ্ধে
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) খন্দকার আশফাকুজ্জামান জানান,
কুমিল্লার মনোহরপুর এলাকার জিয়া কটেজ এবং ২য় কান্দিরপাড় পীড়জাদী মঞ্জিল নামক বিল্ডিং এর দুইটি রুমে ব্যাচেলর মেসে থাকা কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যয়নরত ছাত্র তোফায়েল আহাম্মেদ, মো: ফারুক হোসেন, মো: মেহেদী হাসান, মাহমুদ হোসেন সরকার, আব্দুল আউয়ালের সাথে একজন ছদ্মবেশি ছাত্র হিসেবে পরিচয় দেন রিপন মৃধা। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মেসেঞ্জারে তাদের পরিচয় হয়। পরিচয়ের সুবাদে রিপন মৃধা গত ১৭ মে সকাল সাড়ে ১০টার সময় প্রথমে জিয়া কটেজের মেসে এবং পরে ওইদিনই রাত সাড়ে ১০টার সময় পীড়জাদী মঞ্জিল নামক বিল্ডিংয়ের মেসে প্রবেশ করে। দুই জায়গাতে অভিনব কায়দায় ওই দুই মেসের ছাত্রের ভিন্ন সময়ে খাবার খেতে বসে এবং ছাত্রদের খাবারে চেতনানাশক দ্রব্য মিশিয়ে দিয়ে চার জনকেই ভিন্ন ভিন্ন মেসে অচেতন করে। পরে মেসগুলো থেকে ৪টি মোবাইল ফোন, ২টি ল্যাপটপ, ১টি ডেক্সটপ মনিটর, ১টি সিপিইউ সহ অন্যান্য মালামাল চুরি করে ট্রলিব্যাগ এবং ট্রাভেল ব্যাগের মধ্যে নিয়ে ১৮মে ভোর বেলায় পালিয়ে যায়।
পরে ছাত্ররা এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়। পুলিশ তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় কুমিল্লা শহরের ধান গবেষণা ইন্সটিটিউট থেকে রিপন মৃধাকে আটক করে এবং তার কাছ থেকে চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে। মাদারীপুর সদর থানা এবং বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের কোতোয়ালি থানায় একই রকম অপরাধের জন্য রিপন মৃধার বিরুদ্ধে আরো দুটি মামলা রয়েছে বলে জানা যায়।