নিজস্ব প্রতিবেদক।।
সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ইমাম হোসেন রনির (৪০) বাড়ি গাজীপুর মহানগরীর বড় দেওড়ার ফকির মার্কেট এলাকায়। তার মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে কান্নায় ভেঙে পড়েন তার বাবাসহ স্বজনরা।
সরেজমিনে দেখা যায়, বাড়িতে স্বজনদের কান্নার রোল। রনির বাবা, তার স্ত্রী-সন্তানদের কান্না কিছুতেই থামানো যাচ্ছে না। তাদের দেখতে আশপাশের মানুষ ওই বাড়িতে ভিড় করছেন।
স্থানীয়রা জানান, ইমাম হোসেন রনিদের গ্রামের বাড়ি চাঁদপুর সদরে হলেও ফকির মার্কেট এলাকায় জমি কিনে বাড়ি করেছেন। ওই বাড়ি থেকে সৌদিতে গমন করেন তিনি। বাড়িতে স্বজনদের কান্নার তিন ভাই ও এক বোনের মধ্যে রনি দ্বিতীয়।
রনির বোন সীমা আক্তার জানালেন, পাঁচ বছর হলো রনি সৌদি আরবে থাকেন। দুই মাসের ছুটিতে ফেব্রুয়ারি মাসের ৫ তারিখে বাসায় আসেন। ৭ তারিখে বিয়ে করেন। রনির প্রথম স্ত্রী এক সন্তান রেখে তাকে তালাক দিয়ে চলে যান।
তার ভাই হোসেন আলী জসিম জানান, ২৫ মার্চ উমরাহ পালনের জন্য ভাইকে বিমানবন্দরে দিয়ে আসি। ঠিকমতো রনি গন্তব্যে পৌঁছে যায়। ওমরাহ পালন শেষে ১ এপ্রিল কাজে যোগদানের কথা ছিল তার। কিন্তু ২৭ তারিখ সৌদি আরবে সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি মারা গেলেন।
রনির আরেক বোন হাজেরা বেগম জানান, ভাইয়ের সঙ্গে শেষ কথা হয় সোমবার ইফতারের ১০ মিনিট আগে। ভাই বলেছিল- ওমরাহ শেষে কাজে যোগদান করবে। বাংলাদেশে ইফতারের সময় হয়ে গেছে বলে ফোন রেখে দেয় আমার ভাই রনি। তারপর মৃত্যুর সংবাদ পাই।
রনির বাবা আব্দুল লতিফ জানান, ছেলেকে হারিয়ে আমি পাগল হয়ে গেছি। সরকারের কাছে আমার আবেদন তাড়াতাড়ি যেন ছেলের মরদেহ আমার কাছে পাঠায়।
টঙ্গী পশ্চিম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম জানান, মরদেহ আসার পর সরকারি নির্দেশনা অনুসারে সব কাজ সম্পন্ন করা হবে।