নিজস্ব প্রতিবেদক।।
ফরিদপুরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের পর এক নারীকে হত্যার ঘটনায় সাবেক স্বামী ও তার এক সহযোগীকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে আসামিদের এক লাখ টাকা করে জরিমানা করা হয়। এছাড়া অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় পাঁচ আসামিকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (১ মার্চ) দুপুরে ফরিদপুরের জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইবুন্যাল আদালতের বিচারক মো. হাফিজুর রহমান এ রায় ঘোষণা করেন। এসময় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন, ফরিদপুর সদরপুর উপজেলার ডেউখালি ইউনিয়নের আব্দুল বারেক মোল্যার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্যা (৪৯) এবং একই ইউনিয়নের রহিম মাতুব্বরের ছেলে চুন্ন মাতুব্বর (৫০)।
আদালত ও মামলা সূত্রে জানা গেছে, ২০০০ সালের ১৫ মে রাশিদা বেগম রুশির সঙ্গে ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার ঢেউখালী ইউনিয়নের বারেক মোল্যার ছেলে জাহাঙ্গীর মোল্যার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে রুহান নামে এক ছেলে আছে। বিয়ের পর থেকেই যৌতুকের জন্য জাহাঙ্গীর বিভিন্ন সময় স্ত্রীকে মারধর করতেন। এরই মাঝে তিনি আরেকটি বিয়ে করে সংসার করতে থাকেন। একপর্যায়ে তিনি রাশিদাকে তালাক দেন।
পরে রাশিদা ছেলেকে নিয়ে বাবার বাড়ি চলে যান। ২০১২ সালের ১৩ জানুয়ারি রাতে রাশিদাকে পরিচিত এক ব্যক্তির মোবাইলফোন থেকে কল করে ডেকে নিয়ে পালাক্রমে ধর্ষণ করা হয়। পরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে গাছের সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখা হয়। এ ঘটনার পরদিন নিহতের ভাই দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে সদরপুর থানায় মামলা করেন।
রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট স্বপন কুমার রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি প্রতিনিধিকে বলেন, রাশিদাকে হত্যার পর ঘটনা আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। তবে রাষ্ট্রপক্ষ হত্যাকাণ্ড সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত করতে পারায় আদালত সন্তুষ্ট হয়ে এ রায় দিয়েছেন।