ডাক্তাররা সাধারণত রাজনীতিতে কম আসেন। কিন্তু, আমি যখন ছাত্রজীবনে ছিলাম, তখন থেকেই রাজনীতির প্রতি আমার আগ্রহ তৈরী হয়। ২০০৯ সালের পর থেকে আমি বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া এলাকায় বিএনপি’র রাজনীতি শুরু করি। চিকিৎসা পেশার পাশাপাশি আমি রাজনীতি করে যাচ্ছি। রাজনীতি করলে জনগণের অনেক কাছাকাছি যাওয়া যায়। বৃহত্তর পরিসরে মানুষকে সহযোগিতা করতে চাইলে রাজনীতি করা প্রয়োজন। এক সাক্ষাৎকারে সহকারী অধ্যাপক ময়নামতি মেডিকেল কলেজ, সদস্য কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপি, সাবেক যুগ্ন আহবায়ক, বুড়িচং উপজেলা বিএনপি, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম শাহীন এ কথাগুলো বলেন। তিনি বলেন, আপনি কর্মের মাধ্যমে জনগণের মাঝে অনেক দিন বেঁচে থাকতে পারবেন। ১০ হাজার মাইল দূর থেকে, আমাদের নেতা তারেক রহমান দলকে অনেক সুশৃঙ্খল করে রেখেছেন, অন্য কোনো দল হলে এতদিনে ভেঙ্গে পড়ে যেতো। আসন্ন সংসদ নির্বাচনে, আমি আমার নির্বাচনী এলাকা কুমিল্লা ৫ (বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া) থেকে মনোনয়ন চাইবো। অনেকেই তো দল থেকে মনোনয়ন চাইবে, কিন্তু কাকে মনোনয়ন দিবে তা নির্ধারণ করবে মনোনয়ন বোর্ড। আর দল যদি আমাকে মনোনয়ন দেয়, তাহলে আমি বিজয়ের ব্যাপারে শতভাগ নিশ্চিত। আমি চিকিৎসা সেবার মাধ্যমে জনগণের কাছাকাছি আসতে পেরেছি। আমি অনেককে বিনামূল্যে চিকিৎসাও করে থাকি। আর দল যদি আমাকে মনোনয়ন না দেয়, তাহলে দল যাকে মনোনয়ন দিবে, আমি তার পক্ষে কাজ করে যাবো। আমার নির্বাচনী এলাকায় আমি আমাকে সবার চাইতে যোগ্য প্রার্থী মনে করি, কারণ আমার কর্মের জন্য। আমি মানুষের সেবায় নিয়োজিত আছি নিয়মিত। আর আমার নির্বাচনী মূল ইশতেহার হবে, যুবসমাজকে মাদকের হাত থেকে রক্ষা করা। মাদকের বিরুদ্ধে সামাজিক আন্দোলন গড়ে তোলা। এছাড়াও এলাকার রাস্তাঘাটের উন্নয়নসহ আরো অনেক উন্নয়ন করা হবে। আর গ্যাস নিয়ে আমি মিথ্যা আশ্বাস দিবো না, কারণ, গ্যাস সংকটে ভুগছে দেশ। আর দেশে বর্তমানে যে এক দফা আন্দোলন চলছে, এর পক্ষে বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়ার নেতা কর্মীসহ সর্বস্তরের জনগণ সম্পূর্ণ সক্রিয়। আর আমাদের এই একদফা আন্দোলনের কারণে আওয়ামীলীগ নিজেও জানে তারা আর ক্ষমতায় থাকতে পারবে না। আর বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া হচ্ছে একটি পরিবারের মতো। আমরা সবাই মিলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি। আর, একজন ডাক্তার হিসেবে আমি বলবো, ডাক্তার রোগীর সম্পর্ক হওয়া উচিৎ বন্ধুর মতো। কোনো রোগী আসলে, তার সাথে আগে বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে হবে, যাতে রোগী তার সমস্যাগুলো বিনা দ্বিধায় ডাক্তারের কাছে বলতে পারে। রোগীকে পর্যাপ্ত সময় দিতে হবে। আর আমি যদি আমার এলাকায় এমপি হতে পারি, তাহলে আমি আমার এলাকায় জনগণের সেবাকে আরো সহজ করে তোলার জন্য বিভিন্ন মেডিকেল ক্যাম্প গড়ে তোলব। আর কমিউনিটি ক্লিনিকগুলোকে ডাক্তারের নিয়মিত ও আরো সার্বক্ষণিক উপস্থিতি নিশ্চিত করবো। আর যারা সার্বক্ষণিক রাজনীতির সঙ্গে জড়িত, যারা দলের বিপদে আপদে পাশে থাকে, জনগণের জন্য কাজ করে, তাদেরকে নেতৃত্বে আনতে পারলেই বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়াসহ পুরো দেশ সুসংগঠিত হবে। আর জনগণকে বলবো, জনগণ যাতে তাদের দৃষ্টিতে যাকে যোগ্য মনে হয়, তাকেই নির্বাচিত করে, তাহলেই দেশ সুন্দর হবে।