কুমিল্লা জেলার একটি ব্যস্ততম সড়ক কুমিল্লা-ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়ক। এই সড়ক দিয়ে প্রতিদিন প্রায় পাঁচ হাজার লোকের যাতায়াত। অফিস-আদালত, স্কুল-কলেজ, ব্যবসায়ী, ব্যাংকসহ বিভিন্ন অফিস ও দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীরা প্রতিদিন এই সড়ক দিয়ে চলাফেরা করে। মাত্র ২১ কিলোমিটার সড়কে ৩৩ টি স্পিড ব্রেকার রয়েছে, যা যাত্রীদের দূর্ভোগে পরিণত হয়েছে। সাধারণত সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে সড়ক মহাসড়কে স্পিড ব্রেকার দেওয়া হয়। এক্ষেত্রে কোন রকম নিয়ম নীতির তোয়াক্কা না করে অপরিকল্পিতভাবে স্পিড ব্রেকার তৈরি করায় যাত্রীদের চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তাছাড়া ব্যক্তি উদ্যোগে যত্রতত্র স্থাপন করা হয়েছে অসংখ্য স্পিড ব্রেকার। যার কারণে উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি হচ্ছে। স্পিড ব্রেকারগুলোর আগে পরে নেই কোন প্রতিকী চিহ্ন, লেখা নেই কোন সতর্কবানী। এমনকি রং দিয়ে চিহ্নিত করা হয়নি ওই স্পিড ব্রেকারগুলো। সরেজমিনে দেখা গেছে, কুমিল্লা শাসনগাছা থেকে ব্রাহ্মণপাড়া সিএনজি স্ট্যান্ড পর্যন্ত ২১ কিলোমিটার সড়কে রয়েছে ৩৩ টি (গতিরোধক) স্পিড ব্রেকার। কিছু কিছু স্পিড ব্রেকার এতো উঁচু যে, এগুলোর উপর দিয়ে গাড়ি চালানোর সময় বেশ জোরে ঝাঁকুনির সৃষ্টি হয়। এ নিয়ে প্রায়ই ড্রাইভারদের সাথে যাত্রীদের কথা কাটাকাটি ও বাক-বিতন্ডার সৃষ্টি হচ্ছে। এই সড়কে যাতায়াতকারী রোগী ও শিশুরা ঝাঁকুনিতে প্রায় অসুস্থ হয়ে পড়ছে। সড়কের পাশে কেউ নতুন বাড়ি নির্মাণ করলে সেখানে দেয়া হয় একটি স্পিড ব্রেকার। আর হাট-বাজার, দোকান থেকে শুরু করে চা দোকানের সামনে অবাধে স্পিড ব্রেকার নির্মাণ করায় প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা। অনেক সময় বিভিন্ন মাহফিল ও মসজিদ নির্মাণের নামে পাকা সড়কের ওপর ইট ও মাটি দিয়ে অস্থায়ীভাবে নির্মাণ করে গাড়ির পথরোধ করা হয়। উজ্জল চন্দ্র রায় নামের এক মোটরসাইকেল চালক জানান, উঁচু স্পিড ব্রেকারগুলোতে গাড়ির গতি কমিয়ে উঠার চেষ্টা করলে গাড়ি স্পিড ব্রেকারের ওপর উঠতে চায়না। তাই বাধ্য হয়ে জোরে চালিয়ে উঠতে হয়ে। মাঝে মধ্যে ওই স্পিড ব্রেকারগুলোতে উঠতে গিয়ে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন মোটরসাইকেল চালকরা। স্থানীয়রা জানান, অপরিকল্পিতভাবে নির্মিত এই স্পিড ব্রেকারগুলোর কারণে সাইকেল, ভ্যান, মোটরসাইকেল চালকরাও সমস্যায় পড়েছেন। প্রতিদিন ছোটখাটো দুর্ঘটনা ঘটছে। এ ব্যাপারে কুমিল্লা সড়ক ও জনপদ বিভাগের নিবার্হী প্রকৌশলী সুনীতি চাকমা বলেন, স্পিড ব্রেকার গুলোর একটির ও অনুমতি নেই। এলাকার কিছু উৎসাহী জনগণ মনগড়া মত রাতের আধারে স্পিড ব্রেকার গুলো দিয়েছেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলেছি অচিরেই এই অবৈধ স্পিড ব্রেকার গুলো অপসারণ করা হবে। তিনি আরো বলেন আমরা প্রতিনিয়তই শুনতে পাই স্পিড ব্রেকার এর কারণে ছোট ছোট বড় যানবাহন দুর্ঘটনার কবলে পড়তে হচ্ছে।