কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের অস্তিত্ব থাকবে না-এমপি বাহার

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৩ মাস আগে

Spread the love

কিশোর অপরাধ প্রতিরোধে অংশীজনদের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার (১ জুলাই) বিকেলে কুমিল্লা সার্কিট হাউস মিলনায়তনে মতবিনিময় সভার প্রধান অতিথি ছিলেন কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য হাজী আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার। কুমিল্লা জেলা প্রশাসন ও কুমিল্লা জেলা পুলিশ পৃথকভাবে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন। এতে নগরীর বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, কিশোর গ্যাংয়ে অভিযুক্ত নগরীর কয়েকশ শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকরা অংশ নেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু: মুশফিকুর রহমান এবং সভাপতিত্ব করেন কুমিল্লা জেলা পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান। কুমিল্লা সদর আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার বলেছেন, কুমিল্লায় কিশোর গ্যাংয়ের কোন অস্তিত্ব থাকবে না। কুমিল্লা থেকে কিশোর গ্যাং প্রতিরোধে সম্মিলিতভাবে কাজ শুরু হবে। সেসব স্কুল -কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থী কিশোর গ্যাংয়ের সাথে জড়িয়ে পড়ছে তাদেরকে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রত্যয়ন দিলে মুচলেকা দিয়ে প্রথমবারের মতো ক্ষমা করে দেওয়ার জন্য প্রশাসনকে বলব। তবে যারা মাদক, ছিনতাই ও অস্ত্রবাজিতে জড়িত তাদের মাফ নেই। নিয়মিত শিক্ষার্থীকে প্রথমবারের মতো সুযোগ দেওয়া হবে সংশোধন হতে। তবে দ্বিতীয়বার করলে কোনভাবে ছাড় পাবে না। এই সুযোগ পিতা মাতাকে কাজে লাগাতে হবে। আপনার সন্তান যেন নষ্ট না হয় সেই সুযোগ দেওয়া হচ্ছে। পড়াশোনা করাতে যাদের আর্থিক সমস্যা হবে তাদের পড়াশোনার খরচের ব্যবস্থা করা হবে। আসুন, প্রজন্মের সন্তানরা যেন বিপদগামী না হয় সবাই সচেষ্ট হই। সবাই মিলে ২০৪১ এর সুন্দর প্রজন্ম উপহার দেই। সভায় কুমিল্লা জেলা প্রশাসক খন্দকার মু : মুশফিকুর রহমান বলেন, কিশোর অপরাধ প্রতিরোধ শিক্ষকদের ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। প্রত্যেক শিক্ষার্থীর একজন আইডল (আদর্শ) হচ্ছেন শিক্ষক। ছাত্র শিক্ষক বন্ধন গড়ে তুলতে হবে।যেন শিক্ষককে শ্রদ্ধা থেকেই ভয় করে শিক্ষার্থীরা অপরাধে জড়াতে না পারে। অভিভাবকদের উদ্দেশ্য জেলা প্রশাসক বলেন, আমরা যত কাজেই করছি সন্তানের ভবিষ্যৎ এর জন্য। আর সেই সন্তান যদি বিপদগ্রস্ত হয় তাহলে সবই অর্থহীন। পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান বলেন, আমরা পর্যবেক্ষণ করেছি যেসব শিক্ষার্থী অপরাধে জড়িয়ে তারা বিভিন্ন ফেসবুক, হোয়াটসঅ্যাপ, ম্যাসেঞ্জার গ্রæপে যুক্ত। অনেকে তাদের মায়ের মোবাইল দিয়েই এসব গ্রæপে তথ্য পরিকল্পনা জানাচ্ছে। কিন্তু পিতামাতা সময়মতো তাদের টেককেয়ার করছেন না। সঠিক নিদের্শনা দিচ্ছেন না। আবার অনেকে আদর মোবাইল মোটরসাইকেল কিনে দিয়ে বিপথগামী করছেন। অপ্রয়োজনীয় জিনিস সন্তানকে দিবেন না। বিশেষ করে মায়েরা সন্তানের আদর স্নেহের পাশাপাশি শাসন দুটোই করতে হবে। সন্তানের সাথে দূরত্ব কমিয়ে পারিবারিক বন্ধন সুদৃঢ় করতে হবে। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন স্কুল প্রধান, জেলা প্রশাসন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উপস্থিত থেকে তাদের মতামত ব্যক্ত করেন।

  • কুমিল্লা