দ্বাদশ জাতীয় সংসদের নতুন মন্ত্রীসভায় কে কোন দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ৯ মাস আগে

Spread the love

অনেক উৎসাহ উদ্দিপণা ও উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে গত ৭ জানুয়ারী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন হয়েছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ ২২২টি আসনে জয়লাভ করে একক সংখ্যা গরিষ্ঠতা অর্জন করেছে। ৯ জানুয়ারী মঙ্গলবার নির্বাচিত সংসদ সদস্যদের গেজেট প্রকাশিত হয়েছে এবং ১০ জানুয়ারী বুধবার সংসদ সদস্যরা শপথ নিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী সংখ্যাগরিষ্ঠ আসন প্রাপ্ত দলকে সরকার গঠনের জন্য আহবান করা হয়। সেই আলোকে টানা চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করছে। ১১ জানুয়ারী প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে ৩৬ জন মন্ত্রি শপথ নেন। শপথ অনুষ্ঠানের পর নতুন মন্ত্রিসভায় স্থান পাওয়া মন্ত্রীদের মধ্যে দপ্তর বন্টণ করে দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। নতুন মন্ত্রিসভায় অনেক নতুন মুখ স্থান পেয়েছে এবং পুরাতন মন্ত্রিসভা থেকে বাতিল হয়েছেন অনেকেই। ৩৬ জনের মন্ত্রি সভায় পূর্ণ মন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ২৫ জন আর প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ১১ জন। মন্ত্রীদের মধ্যে কে কোন দপ্তরের দায়িত্ব পেলেন তা নিম্নে দেয়া হল– আ.ক.ম মোজাম্মেল হক- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, ওবায়দুল কাদের- সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়, নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন-শিল্প মন্ত্রণালয়, আসাদুজ্জামান খান-স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ডা. দীপু মনি- সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, মো. তাজুল ইসলাম- স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়, মুহাম্মদ ফারুক খান-বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়, আবুল হাসান মাহমুদ আলী-অর্থ মন্ত্রণালয়, আনিসুল হক- আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, হাছান মাহমুদ-পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আবদুস শহীদ- কৃষি মন্ত্রণালয়, সাধন চন্দ্র মজুমদার-খাদ্য মন্ত্রণালয়, আ ম উবায়দুল মোক্তাদির চৌধুরী- গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়, আব্দুর রহমান- মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়, নারায়ণ চন্দ্র চন্দ-ভূমি মন্ত্রণালয়, আবদুস সালাম- পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়, মহিবুল হাসান চৌধুরী- শিক্ষা মন্ত্রণালয়, ফরহাদ হোসেন- জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, ফরিদুল হক খান- ধর্ম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, জিল্লুল হাকিম- রেলপথ মন্ত্রণালয়, সাবের হোসেন চৌধুরী- পরিবেশ বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, জাহাঙ্গীর কবির নানক- বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয়, নাজমুল হাসান পাপন- যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, ইয়াফেস ওসমান- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এবং ড. সামন্ত লাল সেন- স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পেয়েছেন। প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন ১১ জন। তাদের মধ্যে- নসরুল হামিদ-বিদ্যুৎ ও জ্বালানি মন্ত্রণালয়, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী-নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়, জুনাইদ আহমেদ পলক- ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়, জাহিদ ফারুক- পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়, সিমিন হোসেন রিমি- মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয়, কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা- পার্বত্য চট্টপ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়, মুহিববুর রহমান- দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়, মো.আলী আরাফাত- তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়, শফিকুর রহমান চৌধুরী- প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বেগম রুমানা আলী- প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং আহসানুল ইসলাম টিটু- বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন। উল্লেখ্য, গত ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও জাতীয় পার্টিসহ ২৮টি রাজনৈতিক দল অংশ নেয়। দেশের প্রধান বিরোধী দল বিএনপি ও তাদের জোটসঙ্গীরা নির্বাচনে অংশ নেয়নি। তারা শেখ হাসিনার পদত্যাগ এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করছে।

  • বাংলাদেশ