স্টাফ রিপোর্টারঃ
কুমিল্লা- বুড়িচং- ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়কে নামমাত্র বাস চলাচল করলেও এ সড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে সিএনজি ( অটোরিক্সা) ও ব্যাটারী চালিত রিক্সা। প্রতিদিন এ সড়কে প্রায় ২ থেকে ৩ হাজার যানবাহন চলাচল করছে। দ্রুত আশা যাওয়া সুবিধা হওয়ায় এ সব যানবাহনের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কুমিল্লা থেকে বুড়িচং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কাছাকাছি হওয়ায় অফিসের বিভিন্ন দপ্তরে কর্মকর্তা ও সাধারণ মানুষের এ সড়কে চলাচল করে থাকে বেশী। দুই উপজেলার মানুষের চলাচলকে কেন্দ্র করে, কিছু অসাধু সিএনজি (অটোরিকশা) চালকরা নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। নিজেরাই ইচ্ছে মতো বাড়তি ভাড়া আদায় করছে। ভুক্তভোগী যাত্রী আরিফ( শ্রমিক) জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা থেকে জেলা সদরে প্রতিদিন যাতায়াত। আমাদের মত জনসাধারণ জীবিকা নির্বাহ করার জন্য জেলার ওপর নির্ভরশীল। প্রতিদিন সকাল, সন্ধ্যা এবং রাতে শত শত মানুষ যাতায়াত নির্ভরশীল হচ্ছে সিএনজি আটো রিকশায়। এই সুযোগে কিছু সিএনজি (অটোরিকশা) চালক নিজের ইচ্ছে মতো ভাড়া আদায় করছে। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অধিকাংশ লাইসেন্স বিহীন সিএনজি (অটোরিকশা)র ড্রাইভার রয়েছে । যাদের কোন প্রকার ড্রাইভিং লাইসেন্স নেই। নেই যানবাহন চালানোর অভিজ্ঞতা। এমন অদক্ষ ড্রাইভার বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালনার কারণে সড়কে প্রতি নিয়ত ঘটচ্ছে দূর্ঘটনা। যাত্রীদের সাথে অশালীন ব্যবহার করে নিচ্ছে বাড়তি ভাড়া। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কুমিল্লা – মিরপুর সড়কে আকাশ মেঘলা হলে ভাড়া বৃদ্ধি পায়, বৃষ্টি পড়লে ভাড়া বেড়ে যায়, গাড়ি কম থাকলে ভাড়া বেড়ে যায়, যাত্রী কম থাকলে ভাড়া বেড়ে যায়, যাত্রী বেশি থাকলে ভাড়া বেড়ে যায়, মাগরিবের আজানের পর ভাড়া বেড়ে যায়, বৃহস্পতিবার এ ভাড়া বেড়ে যায় এবং জাতীয় কোন সমস্যা বা উৎসব দেখলে-ই ভাড়া বেড়ে যায়। উল্লেখ্য কারণসমূহ ছাড়া আরও অনেক অজানা কারণ রয়েছে ভাড়া বৃদ্ধির। কুমিল্লা বুড়িচং-ব্রাহ্মণপাড়া ভাড়ার নিধারিত চার্ট থাকলেও সন্ধ্যার পর কোন কাজে লাগে না। শাসনগাছা থেকে নির্ধারিত সিএনজি ভাড়া ৫০ (স্বাভাবিক) টাকা হলেও, প্রায় সময় ৬০,৮০ ও ১০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করে থাকে চালকরা। কুমিল্লা থেকে বুড়িচং ৩০ টাকা ভাড়া হলেও প্রায় সময় ৪০,৫০, ৬০ টাকা আদায় করছে, কখনো ১০০ টাকা করে ভাড়া আদায় করা হচ্ছে। নাম প্রকাশের অনিচ্ছুক এক সিএনজি (অটোরিকশা)র ড্রাইভার জানান, কিছু ড্রাইভার বাড়তি বাড়া নিচ্ছে ঠিকই । তবে আমরা কি করবো। আমরা জিবির নামে প্রতি দিনই হয়রানীর শিকার হচ্ছি। প্রতিটি সিএনজি থেকে মাসিক চুক্তি বৃত্তিতে টোকনের টাকা দিতে হচ্ছে। এ সড়কে একটি সিএনজি ( অটোরিকশা) চলাচল করলে দৈনিক ৩৫০ থেকে ৪০০ টাকা পর্যন্ত জিবি এবং অন্যান্য চাঁদা দিতে হয়। আমরা সারাদিন পরিশ্রম করে গ্যাস নেওয়া সিএনজির মালিক জমা এবং জিবি দিয়ে মাঝে মধ্যে খালি পকেটেও বাড়ি ফিরতে হয়। এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা শ্রমিক নেতা আনোয়ার হোসেন আনু বলেন, বাড়তি ভাড়া নেওয়া ঠিক না, তবে মাঝেমধ্যে গাড়ি সংকটের কারণে বাড়তি ভাড়া নেন একশ্রেণীর চালকরা।