“সমাজকর্মী নূরুল হক হত্যা মামলা” ‘ব্রাহ্মণপাড়ায় ফাঁসির আসামি ও স্বজনদের হুমকিতে নিরাপত্তাহীনতায় বাদীর পরিবার’

লেখক: স্টাফ রিপোর্টার
প্রকাশ: ১ মাস আগে

Spread the love

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় সমাজকর্মী নুরুল হক হত্যা মামলায় ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামি ও তাদের স্বজনদের হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন নরুল হকের পরিবার। মঙ্গলবার দুপুরে সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন নিহত নুরুল হকের ছেলে মো. শরিফুল ইসলাম, ভাতিজা আবদুল আলীম ও মোহাম্মদ হোসেন। গত ২৬ জুন (বুধবার) দুপুরে নুরুল হক হত্যা মামলায় ছয়জনকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালত। রায়ের পর আসামি ও তাদের স্বজনরা সরাসরি এবং বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিয়ে আসছে নুরুল হকের পরিবারকে। এতে তারা নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছেন বলে দাবী করেন। মামলার বাদী নুরুল হকের ছেলে শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘জমির বিরোধ নিয়ে সালিসের রায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার আসামিরা ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আমার বাবা নুরুল হককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ২২ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতপরিচয় কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। তদন্তকারী কর্মকর্তা ২০ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতের চার্জশিট দেন। রায় দেওয়ার সময় আদালতের এজলাসে ১১ জন আসামি উপস্থিত ছিলেন ও সাত আসামি পলাতক ছিলেন। মামলার বিচার চলাকালীন দুই আসামি মৃত্যুবরণ করেন এবং দুজনকে বেকসুর খালাস দেন আদালত। এছাড়া বাকিদের মধ্যে ছয়জনকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ চতুর্থ আদালতের বিচারক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। যে ছয় আসামিকে আদালত মৃত্যুদন্ড দিয়েছেন তারা হলেন, মো. মাছুম (৩৫), তাজুল ইসলাম (৩২), মো. মোস্তফা (২৪), আব্দুল কাইয়ূম (২৮), মো. কাইয়ূম (২৫) ও তবদল হোসেন (৪০)। এছাড়া যাবজ্জীবন কারাদন্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন, মো. নান্নু (৪০), আব্দুল মতিন (৪০), সাইদুল হোসেন (২৪), বাবুল মিয়া (২৫), মো. সফিক (৩৫), সফিকুল ইসলাম (২৮), মো. মোসলেম মিয়া (৩৫), মো. হেলাল মিয়া (২৫), বিল্লাল হোসেন (৩০), মো. সফিক (২৮) ও আব্দুল আউয়াল। নরুল হকের ভাতিজা আবদুল আলীম দাবি করেন, রায়ের পর থেকে হাজতে থাকা ও পলাতক আসামিরা এবং তাদের স্বজনরা প্রতিনিয়ত হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। রাস্তাঘাটে চলাচলের সময় তারা আমাদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে মারপিট করতে উদ্যত হয়। ভাতিজা মোহাম্মদ হোসেন বলেন, ‘জমির বিরোধ নিয়ে সালিসের রায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মামলার আসামিরা ২০১১ সালের ১৭ ফেব্রæয়ারি সন্ধ্যায় বাড়ি ফেরার পথে আমার চাচা নুরুল হককে ধারালো অস্ত্রের আঘাতে এবং পিটিয়ে হত্যা করে। এতে আমরা মামলা করলে মামলার রায়ে আদালত ছয়জনকে মৃত্যুদন্ড ও ১০ জনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন। এখন আসামিরা বেপরোয়া হয়ে হুমকি ধামকি দিচ্ছে। তিনি দ্রæত তার চাচা নুরুল হক হত্যা মামলার রায় কার্যকরের দাবি জানান।

  • ব্রাহ্মণপাড়া